• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার ৮

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২২, ০৫:৩৯ এএম

ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার ৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে মস্কো। বুধবার রাশিয়ার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি এফএসবি। তবে দেশটির এই গোয়েন্দা সংস্থা বলেছে, গ্রেপ্তারকৃত সন্দেহভাজনদের মধ্যে পাঁচজন রুশ, তিনজন ইউক্রেনীয় ও একজন আর্মেনীয় নাগরিক রয়েছেন।

এফএসবির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্রিমিয়া সেতু বিস্ফোরণে ব্যবহৃত ২২ হাজার ৭৭০ কেজি বিস্ফোরক ২২টি প্লাস্টিকের ফিল্ম রোলে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।

এফএসবির তথ্য অনুযায়ী, বিস্ফোরক বোঝাই এসব রোল গত আগস্টে ইউক্রেনের ওডেসা বন্দর থেকে একটি নৌকায় করে বুলগেরিয়ায় নেওয়া হয়। পরে সেগুলো বুলগেরিয়া থেকে জর্জিয়ার পতি বন্দরে পৌঁছায়। এরপর সেখান থেকে এই বিস্ফোরক স্থলপথে আর্মেনিয়ায় পাঠানো হয়। পরে সড়কপথে রাশিয়ায় নেওয়া হয় এসব বিস্ফোরক।

রাশিয়ার এই গোয়েন্দা সংস্থা বলেছে, জর্জিয়ায় লাইসেন্স করা একটি ট্রাকে করে গত ৪ অক্টোবর রাশিয়ায় প্রবেশ করে সেই বিস্ফোরক। গত ৬ অক্টোবর রাশিয়ার ক্রাসনোদার অঞ্চলে পৌঁছায় সেগুলো। এর দুদিন পর ক্রিমিয়া সেতুতে এই বিস্ফোরক ব্যবহার করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

এফএসবি বলেছে, ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সংস্থা এই সন্ত্রাসী হামলা পরিচালনা করেছে। আর বিস্ফোরক পরিবহন কাজের সমন্বয় করেছে কিয়েভের নিযুক্ত একজন এজেন্ট।

গত শনিবার ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার সাথে সংযুক্তকারী সড়ক ও রেলসেতুতে বিস্ফোরণের পর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে সেতুর একাংশ ধসে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিস্ফোরণে ৩ জনের প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

২০১৪ সালে সামরিক অভিযান চালিয়ে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দ্বীপের দখল নেয় রাশিয়া। পরে এই দ্বীপের সাথে রাশিয়ার সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য দীর্ঘ ১৯ কিলোমিটার সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ক্রিমিয়া দ্বীপ দখলে নেওয়ার চার বছর পর সেতুটিকে রাশিয়ার পরিবহন নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত করে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মহা ধুমধাম করে সেটির উদ্বোধন করেছিলেন।

ইউক্রেন যুদ্ধে এই সেতু রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক সরবরাহ রুটে পরিণত হয়েছে। কারণ ইউক্রেনের দক্ষিণের খেরসন অঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকা রুশ সৈন্যরা নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তাদের কাছে অস্ত্র ও সামরিক রসদ পাঠানোর অন্যতম পথ ক্রিমিয়া উপদ্বীপের দীর্ঘ এই সেতুটি।

ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ইউক্রেনজুড়ে মানুষের উল্লাস দেখা যায়। এদিকে, সেতুতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ইউক্রেন জড়িত বলে রোববার দাবি করেছে মস্কো। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সোমবার ইউক্রেনজুড়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে অন্তত ১৯ ইউক্রেনীয় নিহত ও আরও শতাধিক আহত হয়েছেন।

সূত্র: এএফপি।

এএস

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ