প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২২, ০৯:৫২ পিএম
গত সপ্তাহে মার্কিন সরকারের আপত্তি উপেক্ষা করে তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় ওপেক প্লাস। এতে ক্ষেপেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সৌদি আরবের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্ক অবনতির পরিণামের ফল ভুগতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। খবর এনবিসি নিউজের।
এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে ওপিইসি তেল রেকর্ড পরিমাণ কম উৎপাদনের ঘোষণা দিয়েছে। বৈশ্বিক করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর তেল উৎপাদনে সবচেয়ে বড় ধরনের হ্রাসের ঘোষণায় সৌদি আরবের ওপর চটেছেন বাইডেন।
বিশ্বব্যাপী পেট্রোলিয়াম সরবরাহ কমানোর ব্যাপারে তেল উৎপাদনকারী জোটের ক্ষমতাধর দেশ সৌদি আরবের সিদ্ধান্তকে ক্যাপিটল হিলের জ্যেষ্ঠ ডেমোক্র্যাট নেতারা নিন্দা করেছেন।
তেলের উচ্চ মূল্যকে ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়নে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়ার উপকার করা হচ্ছে বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
সিএনএন-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে মিলে তারা যা করেছে, তার কিছু পরিণতি হতে চলেছে। আমি কী বিবেচনা করব এবং আমার মনে কী আছে, সেটা আমি বলতে চাই না। তবে তাদের জন্য থাকবে- থাকবে পরিণতি।
জো বাইডেন ইঙ্গিত দিয়েছেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনের পরে কংগ্রেস যখন অধিবেশনে ফিরে আসবে, তখন এই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে বলেছেন, একটি নীতি পর্যালোচনা করা হবে। তবে কে পুনর্মূল্যায়নের নেতৃত্ব দেবে সে বিষয়ে পদক্ষেপ বা তথ্যের জন্য কোনো সময়রেখা দেননি তিনি। তিনি জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আসন্ন সপ্তাহ এবং মাসগুলিতে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেছেন, ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্তটি সম্পূর্ণরূপে অর্থনৈতিক এবং এর সদস্য দেশগুলি সর্বসম্মতভাবে নিয়েছে। জোটের সদস্যরা দায়িত্বশীলভাবে কাজ করেছে এবং যথাযথ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত ৫ অক্টোবর খনি থেকে দিনে ১০ লাখ ব্যারেল বা তারও বেশি জ্বালানি তেল হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উৎপাদন ও বিক্রয়কারী ১৫ দেশের জোট ওপেক প্লাস। জ্বালানি তেলের বাজার চাঙ্গা করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয় গ্রুপটি। দৈনিক তেল উত্তোলন হ্রাসের এই সিদ্ধান্ত ওপেকের আগামী ৫ ফেব্রুয়ারির বৈঠকে চূড়ান্ত হতে পারে বলেও ওপেক সূত্র জানিয়েছিল।
অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ বা ওপেক তেল উত্তোলক আর রপ্তানিকারক ১৪ দেশের জোট। রাশিয়া এই জোটের সদস্য হওয়ার পর জোটের নতুন নাম হয়েছে ওপেক প্লাস।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার তেলের দামের ওপর পশ্চিমা সীমা নির্ধারণে আপত্তি জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে রাশিয়ার প্রতি আকৃষ্ট করার অভিযোগ করেছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা চুপচাপ তার বৃহত্তম আরব অংশীদারকে উৎপাদন হ্রাস করার ধারণা ত্যাগ করার জন্য রাজি করানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু সৌদি আরবের ডি ফ্যাক্টর শাসক ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান তাতে কান দেননি।
জেডআই/