• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

ডিজিটাল জীবনযাত্রার সূচকে বাংলাদেশের ২৭ ধাপ উন্নতি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২২, ০৩:১৬ এএম

ডিজিটাল জীবনযাত্রার সূচকে বাংলাদেশের ২৭ ধাপ উন্নতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ডিজিটাল জীবনযাত্রার বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশের ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। প্রাত্যহিক ও সামাজিক জীবনে ডিজিটাল সুবিধার ব্যবহার ও ভোগ সম্পর্কিত সূচক ‘ডিজিটাল কোয়ালিটি অব লাইফ ইনডেক্সে’ (ডিকিউএল) ২৭ ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। এ সূচকে আগের বছর অবস্থান ছিল ১০৩-এ। চলতি বছরের সূচকে ৭৬তম অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।

২০১৮ সাল থেকে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) পরিষেবা কোম্পানি সার্ফশার্ক ডিকিউএল সূচক তৈরি করে। এ সূচকে বিশ্বের ১১৭টি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিশ্ব জনসংখ্যার শতকরা হিসেবে এতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে পৃথিবীর ৯২ শতাংশ জনগণ।

ডিজিটাল জীবনযাত্রা সম্পর্কিত ৫টি মূল খাত বা স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয় ডিকিউএল সূচক। স্তম্ভগুলো হলো ই-গভর্ন্যান্স, জনগণের ইন্টারনেট ডাটা ক্রয়ের ক্ষমতা, ইন্টারনেট পরিষেবার গুণাগুণ, ইন্টারনেট সম্পর্কিত নিরাপত্তা ও এ সম্পর্কিত অবকাঠামো। এসব খাতে প্রাপ্ত পয়েন্টের গড় হিসেবে ডিকিউএল সূচকে কোনো দেশের অবস্থান নির্ধারিত হয়।

চলতি বছর সূচকের চতুর্থ বার্ষিকী সংস্করণ প্রকাশ করা হয়েছে। সূচকে ই-গভর্ন্যান্স খাতে বাংলাদেশের ফলাফল সর্বনিম্ন। এই খাতে চলতি বছর ১১৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৬তম। তবে ভালো ফলাফল করেছে জনগণের ইন্টারনেট ক্রয় ক্ষমতা সম্পর্কিত খাতে। এই খাতে অবস্থান বিশ্বে ২৯তম।

এছাড়া ইন্টারনেট পরিষেবার গুণাগুণে ৬৭তম, ইন্টারনেট সম্পর্কিত নিরাপত্তায় ৭৫তম ও ইন্টারনেট অবকাঠামো খাতে ৮৫তম অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। আর ইন্টারনেটের গতি, স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধির হিসাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৬৭তম অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছে ডিকিউএল।

বিশ্বজুড়ে প্রধানত দুই ধরনের ইন্টার‌নেট পরিষেবা ব্যবহৃত হয়— ব্রডব্যান্ড সংযোগ ও মোবাইল। বাংলাদেশের ব্রডব্যান্ড সংযোগের মান মোবাইল সংযোগের তুলনায় বেশ ভালো। ব্রডব্যান্ড সেবার দিক থেকে বিশ্বে ৭৮তম অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। আর মোবাইল পরিষেবার দিক থেকে আছে ১১৫তম স্থানে।

দুই পরিষেবাতেই অবশ্য বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে ভারত। দেশটিতে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেটের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি। আর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি বাংলাদেশের চেয়ে ৩৪ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশের ইন্টারেনেটের গুণাগুণ মাঝারি পর্যায়ের। সার্ফশার্কের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘দিন দিন বাংলাদেশের ইন্টারনেট পরিষেবার উন্নতি হচ্ছে, তবে এই খাতে আরও উন্নয়ন প্রয়োজন।’

ডিজিটাল পরিষেবা সংক্রান্ত এই সূচকে চলতি বছর একক দেশ হিসেবে শীর্ষে আছে ইসরাইল। অর্থাৎ ডিকিউএলভুক্ত ১১৭টি দেশের মধ্যে ইসরাইলের ডিজিটাল জীবনযাত্রা সবচেয়ে উন্নত। এরপর ২য় স্থানে রয়েছে পশ্চিম ইউরোপের দেশ ডেনমার্ক।

জার্মানি রয়েছে ৩য় স্থানে এবং ফ্রান্স ও সুইডেন রয়েছে যথাক্রমে ৪র্থ ও ৫ম স্থানে। আর সূচকে সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা ৫টি দেশ হলো ডিআর কঙ্গো, ইয়েমেন, ইথিওপিয়া, মোজাম্বিক ও ক্যামেরুন। 

জেডআই/

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ