প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২২, ০২:৪৪ এএম
ফরাসি লেখক ও অধ্যাপক আনি এর্নো ২০২২ সালের সাহিত্যে নোবেল জিতেছেন। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকালে সুইডেনের স্টকহোমে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করে। ঘোষণায় বলা হয়, এর্নো সাহস ও বস্তুনিষ্ঠ বিচক্ষণতার সঙ্গে তার ব্যক্তিগত প্রতিবন্ধকতা, বিচ্ছিন্নতা ও স্মৃতির শিকড় উন্মোচন করেছেন।
আনি এর্নোর জন্ম হয়েছে ১৯৪০ সালের ১ সেপ্টেম্বর। ১৭তম নারী হিসেবে তিনি এ পুরস্কার জিতেছেন। ৮২ বছরের এই সাহিত্যিক এযাবৎ লিখেছেন ৩০টিরও বেশি উপন্যাস। তাঁর জীবনের অধিকাংশ রচনাই আত্মজৈবনিক। তিনি বরাবরই বিশ্বাস করে এসেছেন লিখনের মুক্ত শক্তিকে। কোনও কিছুর সঙ্গে আপস না করে সহজ ভাষায় দীর্ঘ সময় ধরে লিখে গিয়েছেন নিজের লেখাটি। ব্যক্তিগত স্মৃতিকে এমন নিপুণ ভাবে প্রয়োগ করেছেন রচনায়, পাঠক মুগ্ধ হয়েছে। নিজেকে প্রকাশ করতে গিয়ে লজ্জা, অপমান, হিংসা অথবা অযোগ্যতা কোনও কিছুকেই গোপন করতে রাজি হননি। আর এভাবেই তিনি অর্জন করেছেন খ্যাতি। পেয়েছেন স্বীকৃতি। অবশেষে নোবেল পুরস্কার জিতে নিলেন অশীতিপর বয়সে পৌঁছে।
১৯৭৪ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘লা আরমোরেস ভাইডস (ক্লিনড আউট)’। সেটিও ছিল আত্মজৈবনিক রচনাই। এরপর ১৯৮৪ সালে আরেক আত্মজৈবনিক রচনা ‘লা প্লেস (আ ম্যান’স প্লেস)’-এর জন্য তিনি জিতে নেন রেনোড পুরস্কার। বাবার সঙ্গে সম্পর্ক এবং ফ্রান্সের এক ছোট্ট শহরে বেড়ে ওঠা নিয়েই তৈরি হয়েছিল এই উপন্যাসের কাঠামো। সেই সঙ্গে ধীরে ধীরে বড় হয়ে ওঠা এবং পিতৃশিকড় থেকে দূরে সরে আসাও বর্ণিত হয়েছিল সেই লেখায়। এরপর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
২০২১ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন ঔপন্যাসিক আবদুল রাজাক গুরনাহ। তাঞ্জানিয়ার নাগরিক আবদুল রাজাক গুরনাহ যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। তিনি মূলত ইংরেজিতে লেখেন। তার বিখ্যাত কয়েকটি উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে প্যারাডাইস (১৯৯৪), বাই দ্য সি (২০০১) এবং ডেজারশন (২০০৫)।
প্রতি বছর সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী কে হবেন তা নিয়ে আগে থেকেই শুরু হয় হাজারো আলোচনা। যদিও দেখা যায় প্রায় প্রতি বছরই প্রায় সবার অনুমান ছাড়িয়ে অপ্রত্যাশিত নাম ঘোষণা করে বসে নোবেল কমিটি।
জেডআই/