প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২২, ০৮:২৬ পিএম
থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এক প্রদেশে শিশুদের একটি ডে-কেয়ার সেন্টারে এলোপাতাড়ি গুলি ও ছুরি হামলায় কমপক্ষে ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। পুলিশের সাবেক এক কর্মকর্তা এ হামলা চালিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দেশটির পুলিশের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন।
দেশটির পুলিশের উপ-মুখপাত্র আর্চন ক্রাইটং রয়টার্সকে বলেছেন, হামলায় কমপক্ষে ৩৪ জন মারা গেছেন। থাই পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ডে-কেয়ার সেন্টারে নিহতদের মধ্যে শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্করাও রয়েছেন। পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা ওই হামলা চালিয়েছেন।
দেশটির সরকারের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, শিশুদের ডে-কেয়ার সেন্টারে হামলার পর দেশটির সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা এবং কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান ওচা।
পুলিশের বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের গুলির পাশাপাশি ছুরিকাঘাতও করেছেন ওই হামলাকারী। তবে হামলার উদ্দেশ্য এখনও পরিষ্কার নয়।
থাইল্যান্ডের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলাকারী পুলিশ কর্মকর্তাকে সম্প্রতি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। দেশটির পুলিশ বলেছে, হামলাকারী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাকে শেষবার ব্যাংককে রেজিস্ট্রেশন করা নম্বর প্লেটসহ একটি সাদা-চার দরজার টয়োটা পিক-আপ ট্রাক চালাতে দেখা গেছে।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে নং বুয়া লামফু প্রদেশের এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, নিহতদের মধ্যে ২৩ শিশু, দুই শিক্ষক ও পুলিশের এক কর্মকর্তা রয়েছেন।
পুলিশের মুখপাত্র আর্চন ক্রাইটং বলেছেন, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে বন্দুকধারী সাবেক ওই পুলিশ কর্মকর্তা নং বুয়া লামফু শহরের শিশু ডে-কেয়ার সেন্টারে অতর্কিত হামলা চালিয়েছেন। গোলাগুলির পর নিজ বন্দুকের গুলিতে আত্মহত্যা করার আগে স্ত্রী এবং সন্তানকেও গুলি করে হত্যা করেছেন হামলাকারী।
জেলা কর্মকর্তা জিদাপা বুনসম বলেছেন, মাদক সংক্রান্ত একটি ঘটনার কারণে হামলাকারী ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে কিছুদিন আগে চাকরিচ্যুত করা হয়। দুপুরের খাবারের সময় বন্দুকধারী যখন ডে-কেয়ার সেন্টারটিতে পৌঁছান, তখন সেখানে প্রায় ৩০ জন শিশু ছিল।
তিনি বলেছেন, হামলাকারী পুলিশ কর্মকর্তা প্রথমে ডে-কেয়ার সেন্টারটির চার থেকে পাঁচজন কর্মীকে গুলি চালিয়ে হত্যা করেন। তাদের মধ্যে একজন নারী শিক্ষক আছেন; যিনি ৮ মাসের অন্তঃস্বত্তা।
জিদাপা বুনসুম বলেন, প্রথমে লোকজন আতশবাজির শব্দ ভেবেছিল।
হামলার এই ঘটনাকে ‘মর্মান্তিক’ বলে অভিহিত করে হতাহতদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন থাই প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চ্যান-ওচা। নিজের ফেসবুক পেজে ওচা লিখেছেন, আহতদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য তিনি সব সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
জেইউ