• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১

মেক্সিকোতে বন্দুকধারীদের হামলা, মেয়রসহ নিহত ১৮

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২২, ০৫:০৪ পিএম

মেক্সিকোতে বন্দুকধারীদের হামলা, মেয়রসহ নিহত ১৮

মেয়র কনরাডো মেন্ডোজা আলমেদা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মেক্সিকোর একটি শহরের সিটি হলে বন্দুকধারীরা হামলা চালিয়ে শহরের মেয়রসহ ১৮ জনকে হত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

পুলিশ বলছে, বন্দুকধারীরা স্থানীয় সময় বুধবার (৫ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে সান মিগুয়েল টোটোলাপান শহরের সিটি হলে হামলা চালায়। এরপরই সেখানে ওই মেয়র ছাড়াও আরও ১৭ জনকে গুলি করে তারা হত্যা করে। অনলাইনে পোস্ট করা বেশ কয়েকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বন্দুকধারীদের হামলার কারণে ভবনটি বুলেটের ছিদ্রে পরিপূর্ণ।

নিহত ওই মেয়রের নাম কনরাডো মেন্ডোজা আলমেদা। তিনি দক্ষিণ-পশ্চিম মেক্সিকোর সান মিগুয়েল টোটোলাপান শহরের জনপ্রতিনিধি ছিলেন। বুধবারের এই ঘটনার পর তার দল পিআরডি কনরাডোর এই ‘কাপুরুষোচিত’ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেছে এবং বিচার দাবি করেছে। এ ছাড়া হামলার জন্য দায়ী করা হয়েছে লস টেকুইলেরোস নামক একটি অপরাধী গোষ্ঠীকে।

বিবিসি বলছে, বন্দুকধারীদের হাতে নিহতের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে পুলিশ কর্মকর্তা এবং কাউন্সিল কর্মীরাও রয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের পর মাটিতে পড়ে থাকা রক্তাক্ত মরদেহের গ্রাফিক ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।

বেশ কিছু রিপোর্টে বলা হচ্ছে, বুধবার নিহত মেয়র মেন্ডোজা আলমেদার বাবা হুয়ান মেন্ডোজা অ্যাকোস্টাও ছিলেন সাবেক মেয়র এবং সিটি হলে হামলার আগে তাকেও তার বাড়িতে হত্যা করে বন্দুকধারীরা।

হামলায় নিহতের মোট সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন রিপোর্টে পরিবর্তিত তথ্য উঠে আসছে এবং কর্তৃপক্ষ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে তা নিশ্চিত করেনি। হামলার পর মেক্সিকোর জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা বন্দুকধারীদের খুঁজে বের করতে ওই এলাকায় সেনা ইউনিট মোতায়েন করছে।

সান মিগুয়েল টোটোলাপান শহরটি গুয়েরেরো প্রদেশে অবস্থিত এবং প্রাদেশিক গভর্নর ইভলিন সালগাদো পিনেদা বুধবারের হামলায় প্রাণহানির জন্য তিনি গভীরভাবে অনুতপ্ত বলে টুইট করেছেন।

বিবিসি বলছে, হামলার কিছুক্ষণ আগে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লস টেকুইলেরোসের কথিত সদস্যরা এই অঞ্চলে ফিরে আসার ঘোষণা দিয়ে সামাজিক নেটওয়ার্কগুলোতে একটি ভিডিও প্রকাশ করে। সন্ত্রাসী এই গোষ্ঠীটি ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে গুয়েরেরোকে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে।

জেইউ

 

আর্কাইভ