প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২২, ০৩:৩১ পিএম
ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলের মালাং শহরে ফুটবল খেলায় জয়-পরাজয়কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পদদলিত হয়ে নিহত হয়েছেন ১২৯ জন। এতে আহত হয়েছেন প্রায় ২০০ জন। স্থানীয় সময় শনিবার (১ অক্টোবর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। দেশটির পুলিশ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রোববার বার্তাসংস্থা রয়টার্সসহ বেশকিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিষয়টি জানিয়েছে।
বিবিসি জানায়, ইন্দোনেশিয়ায় একটি স্টেডিয়ামে ফুটবল ম্যাচে দর্শকের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। পরে পদদলিত হয়ে ১২৯ জনের মৃত্যু হয়।
জানা য়ায়, শহরের কানজুরুহান ফুটবল স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়েছিল। আরেমা এফসি ও পেরসেবায়া সুরাবায়া নামের দুটি ফুটবল ক্লাবের মধ্যে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় আরেমাকে ৩-২ গোলে হারায় পেরসেবায়া। দুই দশকের বেশি সময়ের মধ্যে পেরসেবায়ার কাছে এই প্রথম কোনো ম্যাচে হারলো আরেমা। কিন্তু হার মানতে পারেনি তারা। ফলে উত্তেজিত মাঠে নেমে পড়ে আরোমার সমর্থকরা।
দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, স্টেডিয়ামে থাকা আরেমার দর্শকরা মাঠে নেমে বিশৃঙ্খলা শুরু করে। তাদের থামাতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। এতে দর্শকরা আতঙ্কিত হয়ে হুড়াহুড়ি করে দৌড়াতে থাকে। এ সময় পদদলিত হয়ে নিহত হন অনেকে। এ ঘটনাকে দাঙ্গা বলে উল্লেখ করেছে পুলিশ।
এক বিবৃতিতে পূর্ব জাভা পুলিশের প্রধান নিকো আফিন্তা বলেন, ‘এ ঘটনায় ১২৭ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন। স্টেডিয়ামের ভেতরে ৩২ জন মারা গেছেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয়েছে অন্যদের’।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কয়েক হাজার দর্শক স্টেডিয়ামে একসঙ্গে জড়ো হয় ও পরস্পরের মধ্যে হুড়োহুড়ির সৃষ্টি হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ভিড় লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। এ কারণে ভিড়ের মধ্যে পদদলিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে অনেকের। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে দেশটির সরকার। বিষয়টি তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে তারা। দেশটির ক্রীড়া ও যুবমন্ত্রী জাইনুদিন আমালি বলেন, ‘দুঃখজনক এ ঘটনা এমন সময় ঘটলো, যখন ফুটবলপ্রেমীরা স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখার সুযোগ পাচ্ছেন।’
এ ঘটনার পরে কয়েক সপ্তাহের জন্য দেশটিতে ফুটবল লিগ স্থগিত করা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ায় আগামী বছর মে ও জুন মাসে ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের আয়োজন করার কথা রয়েছে।