আন্তর্জাতিক ডেস্ক
নতুন একটি অ্যান্টিবডি থেরাপি ব্যবহার করে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় সাফল্যের দেখা পেয়েছেন ভারতের চিকিৎসকেরা। অ্যান্টিবডিটি ব্যবহার করে মাত্র ১২ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন দুইজন রোগী। বৃহস্পতিবার (১০ জুন) ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআই এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
করোনার উপসর্গের প্রথম সাত দিনের মধ্যে দুই রোগীর শরীরে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি প্রয়োগ করা হয়। এতে ১২ ঘণ্টার মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়েন তারা।
এএনআই এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এই অ্যান্টিবডি থেরাপি প্রয়োগ করা হয় নয়াদিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে। থেরাপি নেয়া একজন ৩৬ বছর বয়সী স্বাস্থ্যকর্মী। অপর ব্যক্তি ৮০ বছর বয়সী একজন। ডায়াবেটিসসহ নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন তিনি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অ্যান্টিবডি দেয়া ওই স্বাস্থ্যকর্মী প্রচণ্ড জ্বর, কাশি, দুর্বলতাসহ নানা সমস্যায় ভুগছিলেন । উপসর্গ প্রকাশের ষষ্ঠ দিনে তার শরীরে অ্যান্টিবডি প্রয়োগ করা হয়। মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে তার অসুস্থতা কমে যায়। তাকে হাসপাতাল থেকে ছারপত্রও দেয়া হয়।
অপর রোগীর ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, প্রচণ্ড জ্বর ও কাশি ছিল। উপসর্গ প্রকাশের পঞ্চম দিনে অ্যান্টিবডি দেয়া হয় তাকে। পরবর্তী ১২ ঘণ্টার মধ্যেই তারও শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়। পরে তাকেও হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।
স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট পূজা খোসলা বলেন, ‘উপযুক্ত সময়ের মধ্যে রোগীর দেহে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি প্রয়োগ করা হলে উল্লেখযোগ্য ফলাফল পাওয়া পেতে পারে। অন্য রোগে উচ্চঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো খারাপ অবস্থা থেকে রক্ষা করতে পারে এই অ্যান্টিবডি। পাশাপাশি রোগের অবনতিও রোধ করা সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া এটা করোনা চিকিৎসায় স্টেরয়েড ও ইমিউনোমডিউলেশন ব্যবহার কমাতে সাহায্য করতে পারে। বর্তমানে করোনা রোগীদের শরীরে স্টেরয়েড ব্যবহারে ভারতে ফাঙ্গাসের মতো বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ায় সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে।’
ডব্লিউএস
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন