প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২২, ০৩:১৯ এএম
চীনের
প্রচণ্ড আপত্তি ও বাধা সত্ত্বেও তাইওয়ানে পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের হাউস স্পিকার
ন্যান্সি পেলোসি। মঙ্গলবার (জুলাই) রাতে ন্যান্সিকে বহনকারী বিমান তাইওয়ানের
বিমানবন্দরে পৌঁছে। এই সফরে ছোট একটি টিমকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।
গত ২৫ বছরের মধ্যে
ন্যান্সি পেলোসি হচ্ছেন জ্যেষ্ঠ কোনো মার্কিন রাজনীতিবিদ, যিনি তাইওয়ান সফর
করছেন। এদিকে ন্যান্সি পেলোসির এই সফর কেন্দ্র করে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে চীন ও
যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার একটি হুমকিমূলক চিঠিও আসে। এতে বলা হয়, মার্কিন স্পিকার
তাইপের যে বিমানবন্দরে নামবেন সেটি উড়িয়ে দেওয়া হবে। তাইওয়ান প্রণালীর উপর চীনের
যুদ্ধবিমান উড়তে দেখা যায়। খবরে বলা হচ্ছে, ওই বিমানগুলো এসইউ-৩৫ যুদ্ধবিমান।
রাশিয়ার গণমাধ্যম আরটি
নেটওয়ার্ক'র খবরে বলা হয়েছে, কে বা কারা
যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের
স্পিকারের সফরে বিমানবন্দর উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।
তবে, তাওইউয়ান
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে হুমকিমূলক একটি চিঠি এসেছে। চিঠি পাওয়ার পর
বিমানবন্দরে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে তাওইউয়ান কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, পেলোসির সফর
কেন্দ্র করে তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলে চারটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যেকোনো রকম সংঘাতময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে
রক্ষায় এ ব্যবস্থা নেয় মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
মার্কিন নৌ-বাহিনীর এক
কর্মকর্তা এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আরও বলেন, ভারী কিছু অস্ত্র সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
যেকোনো পরিস্থিতিতে এসব অস্ত্র কাজ করতে প্রস্তুত।
ন্যান্সি পেলোসির সফর
নিয়ে নানা ধরনের হুমকি-ধমকি চলে আসছে বেশ কয়েকদিন ধরে। সোমবার (১ জুলাই) চীনের
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ানও পেলোসির সফর নিয়ে কড়া হুমকি দেন।
মঙ্গলবার পাওয়া হুমকির ব্যাপারে চীনের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো
কর্মকর্তা কোনো ধরনের মন্তব্য করেননি।
জেডআই/