প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২২, ০৪:২১ পিএম
শ্রীলঙ্কা থেকে পালিয়ে মালদ্বীপে আশ্রয় নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে।
তবে সেখানেও শান্তিতে নেই তিনি। গোতাবায়াকে বের করে দিতে মালদ্বীপে বিক্ষোভ শুরু
হয়েছে। তাই সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন গোটাবায়া।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের
একটি ফ্লাইটে যাওয়ার কথা থাকলেও নিরাপত্তার কারণে যাওয়া হয়নি। এখন প্রাইভেট জেটের
অপেক্ষা করতে হচ্ছে লঙ্কান প্রেসিডেন্টকে। বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) শ্রীলঙ্কার
সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর এ তথ্য জানিয়েছে।
ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে
ডেইলি মিরর তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের এসকিউ৪৩৭ ফ্লাইটে
স্ত্রী আইওমা রাজাপাকসে ও তাদের ২ নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে নিয়ে গত রাতে মালে থেকে
সিঙ্গাপুর যাওয়ার কথা ছিল গোটাবায়ার।
প্রতিবেদনে বলা
হয়, নিশ্ছিদ্র
নিরাপত্তা বজায় রেখে প্রাইভেট জেটে কীভাবে সিঙ্গাপুর যাওয়া যায় এখন সে বিষয়ে
আলোচনা চলছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রবল গণআন্দোলনের মুখে
গোটাবায়া বুধবার (১৩ জুলাই) কলম্বো থেকে পালিয়ে সামরিক বিমানে স্ত্রী ও ২
নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে নিয়ে স্থানীয় সময় ভোররাত ৩টায় মালদ্বীপের রাজধানী মালে
পৌঁছান।
সেখানে তাদের অবস্থানের বিরুদ্ধে প্রবাসী শ্রীলঙ্কান ও স্থানীয়রা বিক্ষোভ করেছেন। তবে গোটাবায়া সিঙ্গাপুরেই থাকবেন কি না বা সেখান থেকে অন্য দেশে যাবেন কি না সে বিষয়ে প্রতিবেদনে কিছু বলা হয়নি।
শ্রীলঙ্কার সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গোটাবায়া সিঙ্গাপুরে পৌঁছানোর পর শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের স্পিকারের কাছে তার পদত্যাগপত্র দাখিল করতে পারেন। যদিও গোটাবায়ার বিষয়ে সিঙ্গাপুর সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
শ্রীলঙ্কা স্বাধীনতার পর
থেকে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে
রাজাপাকসেকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অপসারণের দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে।
শ্রীলঙ্কার স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেওয়ার্দেনা বলেন, ২০ জুলাই
পার্লামেন্টে ভোটের মাধ্যমে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে
রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা।
গত শনিবার (৯ জুলাই)
ফোর্টে প্রেসিডেন্ট হাউসে হাজার হাজার লোক ঢুকে পড়ে। তবে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি
বাসভবনে নাটকীয় ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। সেখানে বিক্ষোভকারীদের ক্যারাম বোর্ড খেলতে, সোফায় ঘুমাতে, পার্ক প্রাঙ্গনে
উপভোগ করতে এবং রাতের খাবারের জন্য খাবার তৈরি করতে দেখা গেছে।
খাদ্যে রেকর্ড পরিমাণ
মূল্যস্ফীতি, আকাশচুম্বী
জ্বালানি খরচ এবং পণ্যের ব্যাপক ঘাটতির পরিপ্রেক্ষিতে শ্রীলঙ্কার প্রায় ৬১ শতাংশ
পরিবার নিয়মিতভাবে খরচ কমানোর কৌশল অবলম্বন করছে। তারমধ্যে রয়েছে খাবার গ্রহণের
পরিমাণ হ্রাস করা এবং তুলনামূলক কম পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা।
জেডআই/