প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২২, ০২:১৭ পিএম
বিশ্বজুড়ে দৈনিক করোনায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমলেও প্রাণহানী বেড়েছে। গত ২৪
ঘণ্টায় সারা বিশ্বে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৫২৮ জন।
এতে বিশ্বজুড়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৩ লাখ ৭৯ হাজার ৯৫ জনে।
গত একদিনে বিশ্বজুড়ে
সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে। প্রাণহানির তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে
যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই রয়েছে ব্রাজিল, ফ্রান্স, ইতালি, মেক্সিকো ও অস্ট্রেলিয়া।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই)
সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস
থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে
করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ১৪ হাজার ৬১৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন
শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৮ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত
ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ কোটি ৩৮ লাখ ১৪ হাজার ৩৪২
জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে
নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ২৭ হাজার ৬৪২ জন এবং মারা গেছেন ১০৯
জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ২৬ লাখ ৭৬ হাজার ৫৮৯
জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫০ হাজার ৪১৪ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক
প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন
করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৫৮৪ জন এবং মারা গেছেন ৩৯৯ জন।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৯ লাখ ৪ হাজার ৪২৭
জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৪৪ জন মারা গেছেন।
লাতিন আমেরিকার দেশ
ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয়
অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৮৮ জন এবং
নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৭১ হাজার ৫০১ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত
দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৩০ লাখ ৭৬ হাজার ৫৭৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে
৬ লাখ ৭৪ হাজার ৫৫৪ জনের।
ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায়
নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজার ১৬৮ জন এবং মারা গেছেন ১০৬
জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৯৭ লাখ ৭৮
হাজার ৯১১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৯৬ জন মারা গেছেন।
একইসময়ে মেক্সিকোতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৩৩৪ জন এবং
মারা গেছেন ৯২ জন।
তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায়
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৯ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২৯
হাজার ৯১১ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর
সংখ্যা ৪১ লাখ ৬২ হাজার ২৯০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৮২৯ জনের। একইসময়ে জাপানে
নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ হাজার ১৯১ জন এবং মারা গেছেন ২০ জন।
রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায়
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪২ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৩
হাজার ৯২৯ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর
সংখ্যা ১ কোটি ৮৪ লাখ ৭২ হাজার ২৩৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৭১১ জনের।
একইসময়ে নিউজিল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৮০৬ জন এবং
মারা গেছেন ২৯ জন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায়
অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ২৪২ জন এবং মারা
গেছেন ৫৭ জন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার
৩৯১ জন এবং মারা গেছেন ২৫ জন। চিলিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৪৯৪
জন এবং মারা গেছেন ৬ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের
ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০
সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা
করে।
জেডআই/এএল