আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতের দিল্লির ইতিহাস থেকে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী গাঁধী-নেহরু পরিবারের নাম মুছে দেওয়ার প্রয়াসে আরও এক ধাপ এগিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লির তিন মূর্তি ভবনের নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি (এনএমএমএল) নাম বদলে হচ্ছে ‘প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহালয়’, দেশের ১৪ জন প্রধানমন্ত্রীর অবদানকে স্বীকৃতি দিতে গড়ে তোলা ওই স্মৃতিসৌধের উদ্বোধন করবেন মোদী। খবর আনন্দবাজারের
প্রধানমন্ত্রী মোদী টুইট বার্তায় লিখেছেন, ১৪ এপ্রিল বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহালয় উদ্বোধন করা হবে। সেখানে আমাদের প্রত্যেক প্রধানমন্ত্রীর অবদান প্রদর্শিত হবে। ভারতের ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উদ্যাপন উপলক্ষ্যেই এই কর্মসূচি। আমি সকলকে জাদুঘরটি দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
লোকসভা ভোটের আগে সব প্রধানমন্ত্রীর অবদানকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়ার লক্ষ্যে একটি সংগ্রহশালা নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদী। গত স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার ভাষণে তিনি জানান, ওই সংগ্রহশালায় স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত সব প্রধানমন্ত্রীর জীবন ও কাজের নানা দিক আমজনতার কাছে তুলে ধরা হবে। ভারত স্বাধীনতার ৭৫তম বছরের সূচনালগ্নে এক বছর ব্যাপী ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এক সূচনাপর্বে জানা যায়, মোদী সরকারের ‘নজর’ দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর স্মৃতিবিজড়িত তিন মূর্তি ভবনের দিকে!
জানা যায়, মৃত্যুর আগে ষোলো বছর দিল্লির তিন মূর্তি ভবনে কাটিয়েছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহরু। তাঁর মৃত্যুর পরে তাঁর বাসভবন তিন মূর্তি ভবন সংরক্ষণের ভার হাতে নেয় তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার। পরে নেহরু গবেষণার কেন্দ্র হয়ে ওঠে তা। মোদী সরকারের এই পদক্ষেপে আপত্তি তুলেছিল কংগ্রেস-সহ কয়েকটি বিরোধী দল। তাদের অভিযোগ, নেহরুকে ইতিহাস থেকে মুছে দিতে চাইছেন মোদী।
সাজেদ/
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন