আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দুবাই এক্সপোর একটি প্রদর্শনীতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ কোরআনের ভাস্কর্য প্রত্যক্ষ করল বিশ্ববাসী। পাকিস্তানের প্রখ্যাত শিল্পী ও ভাস্কর শাহিদ রাসম এ কপিটি তৈরি করছেন।
শহীদ রাসম এ কাজটি প্রথমবার করেছেন। এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আনোয়ার মাকসুদ বলেছিলেন যে, শহীদের যোগ্যতা তাকে এমন একটি অবস্থানে নিয়ে গেছে যেখানে তিনি কীভাবে আরবি অক্ষর লিখতে হয়, তা শিখে ফেলেছেন। তিনি বলেছেন 'ব্যাপারটি সত্যিই আশ্চর্যজনক। এটি সমগ্র বিশ্বের মুসলমানদের জন্য একটি সুন্দর উপহার। দোয়া করবেন যেন কাজটি যথাসময়ে সম্পন্ন হয়।’ শেষে তিনি ‘রাসম দীর্ঘজীবী হোক’ বলে রাসমের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। যে কোনো শিল্পীর কাছ থেকে এমন প্রশংসা পাওয়া যে কোনো শিল্পীর জন্য সত্যিই বড় ব্যাপার।
শহীদ রাসম পাকিস্তানের একজন বিখ্যাত ভাস্কর। তিনি অসংখ্য আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে তার কাজের মাধ্যমে তার দেশকে গর্বিত করেছেন। তিনি এখন ক্যানভাসে ভাস্কর্য করা পবিত্র কোরআনের সবচেয়ে বড় কপিটি শেষ করার পথে রয়েছেন। তিনি সারাবিশ্বে প্রথম ব্যক্তি হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
রাসম ৩৫ বছর ধরে শিল্প জগতে আছেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, শৈশবেই তার যাত্রা শুরু হয়েছে। তার কাজ এখন সারা বিশ্বে প্রদর্শিত হচ্ছে।
তার বর্তমান কাজ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ইসলামের ১৪০০ বছরের ইতিহাসে কেউ কোরআনের ভাস্কর্য তৈরি করেনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘কোরআন সবসময় কাগজে বা পশুর চামড়ায় লেখা হয়েছে। যেকোনো শিল্প আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি এমন উপাদান বেছে নিয়েছি, যেটি হাজার বছর টিকে থাকবে।’ তিনি একটি সাক্ষাৎকারে যোগ করেছেন, 'আমরা ক্যানভাস বেছে নিয়েছি, কারণ এটি দীর্ঘদিন টিকে থাকবে।' তিনি আরও ব্যাখ্যা করেছিলেন যে তারা আরবি, ফার্সি এবং তুর্কি নকশা অধ্যয়ন করেছিল এবং তারপর বিকাশ করেছিল। অনন্য নকশা নিয়ে তারা এখন কাজ করছে।
২০১৬ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পে আরও দুই থেকে আড়াই বছর সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। এটা এক ব্যক্তির কাজ নয়। দুই শতাধিক শিল্পী এখন এতে কাজ করছেন। একটি চ্যানেলের সঙ্গে আলাপকালে রাসম বলেন, ‘যখন বুঝলাম অনেক বেশি সময় লাগছে, তখন আমি আমার ছাত্রদের দল তৈরি করে তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিলাম। এখন আমাদের ২০০ টিরও বেশি শিল্পী, চিত্রশিল্পী, ক্ষুদ্র শিল্পী, ক্যালিওগ্রাফার, ডিজাইনার এবং ভাস্কর এতে কাজ করছেন।’
পবিত্র কোরআনের আকার ৮.৫ বাই ৬.৫ ফুট। এটি অ্যালুমিনিয়ামের ওপর লেখা, যা প্রায় ২০০০ কেজি এবং স্বর্ণের প্রলেপ দেওয়া হয়েছে, যা প্রায় ২০০ কেজি।করাচিতে একটি প্রেস কনফারেন্সে রাসম ব্যাখ্যা করেছিলেন। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, পবিত্র কোরআনে মোট ৫৫০ পৃষ্ঠা আছে, যেখানে ৮০ হাজারের বেশি শব্দ রয়েছে। রাসাম বলেন, ‘তাদের একটি কোরআন জাদুঘর বানানোর কথা রয়েছে, যেটি হবে বিশ্বের একমাত্র জাদুঘর।’
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন