প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২, ০৯:১৭ পিএম
আচমকা
এই বাড়িটির বাহ্যিক অবয়ব আপনাকে শঙ্কায়
ফেলতে পারে। একজন আগন্তুকের
জন্য ভীতিকর পরিস্থিতি বটেই, একই সঙ্গে স্থানীয়
বাসিন্দাদেরও রাতের ঘুম হারাম করে
চলেছে এই বাড়িটি। তাদের
অভিযোগ, বাড়িটির ভেতরে আয়োজন করা হয় ভয়ঙ্কর
সব আচার-অনুষ্ঠান।
খবর ডেইলি সাবাহর।
বাড়িটি দেখে কোনো শয়তানের বাড়ি বলে মনে হতে পারে। এর সীমানা প্রাচীরজুড়ে যেন শয়তানের মূর্তি। শুধু সীমানা প্রাচীরেই নয়, বাড়িটির ভেতরেও রয়েছে একই অবয়ব।
অভিযোগ রয়েছে, ঘরের ভেতরে শয়তানের জন্য আয়োজন করা হয় নানা আচার-অনুষ্ঠানের। এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করা এই বাড়িটির দেখা মিলবে লাতিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়ায়। দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এল আলটোতে অবস্থিত ব্যতিক্রমী এ বাড়ি এরই মধ্যে জন্ম দিয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনার।
বাড়িটির
অন্দরমহলে প্রবেশ করতে দেখা যাবে
কাঠ ও সিমেন্ট দিয়ে
তৈরি ভয়াল আকৃতির সব
মূর্তি। বাড়িটির মালিক ডেভিড চোক জানালেন, পূর্বপুরুষদের
সম্মানে খনির দেবতার মূর্তি
দিয়ে সাজিয়েছেন বাড়িটি। তিনি বলেন, ‘আমার
পূর্বপুরুষরা সবাই খনি শ্রমিক ছিলেন।
তাই খনির দেবতাকে উৎসর্গ
করে আমি এ বাড়ি
বানিয়েছি। খনির দেবতার নামে
এ বাড়ির নাম রাখা হয়েছে
দ্য আঙ্কলস হাউস।’
স্থানীয়
বাসিন্দা মারিয়া লরেল বলেন, ‘প্রতি
মঙ্গল ও শুক্রবার বাড়িটিতে
নানারকম অদ্ভূত আচার-অনুষ্ঠান পালন
করা হয়। এসব দেখে
আমি একবার ভয়ে দৌড়ে পালিয়েছিলাম।
বিষয়টি এলাকাবাসীর জন্যও ভীতিকর।’
প্রতিবেশীদের
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বাড়ির মালিক
বলেন, 'বাড়িটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করা গেলে বদলে
যেতে পারে শহরের অর্থনীতি।
তবে সংকীর্ণ মনের লোকেরা আমার
এ উদ্যোগকে অতিপ্রাকৃতিক কিছু মনে করতে
পারে। আমি বলব, আপনারা
আপনাদের মনকে প্রসারিত করুন
এবং এটাকে একটি ট্যুরিস্ট স্পট
ভাবুন। দর্শনার্থীরা এখানে ভিড় জমালে তা
এই অঞ্চলের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।’
প্রসঙ্গত, কয়েক শতাব্দী আগেও বলিভিয়া ছিল স্পেনের দখলে। স্প্যানিশরা দেশটির বাসিন্দাদের রুপার খনিতে কাজ করতে বাধ্য করত। সে সময় শ্রমিকদের ভয় দেখাতে শয়তানের মূর্তি খনির প্রবেশদ্বারে রেখে দেয়া হতো। এখনও বলিভিয়ার অনেক খনির প্রবেশদ্বারেই এসব মূর্তি দেখা যায়।
অর্ণব/ফিরোজ