• ঢাকা বুধবার
    ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বাড়ছে তেলের দাম: ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্ব

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২, ০৪:৩১ পিএম

বাড়ছে তেলের দাম: ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্ব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। টালমাটাল আন্তর্জাতিক তেলের বাজার। রাশিয়া যে কোনো সময় ইউক্রেনে অভিযান চালাতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের এমন সতর্কবার্তার পর সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে গেছে। পুতিন ইউক্রেন আক্রমণ করলে তেলের আকাশছোঁয়া দাম বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। খবর রয়টার্সের।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইউক্রেন ইস্যুতে তেলের দাম বাড়ার শঙ্কায় আছে। যার প্রভাব পড়বে সাধারণ জনগণের জীবনযাত্রার ওপর। ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে সময় সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম দেখা গেছে প্রতি ব্যারেল ৯৫ দশমিক ৫৬ মার্কিন ডলার। এর কিছুক্ষণ আগে তার দাম এক লাফে ১ দশমিক ১২ ডলার বেড়ে ৯৬ দশমিক ১৬ ডলারে পৌঁছেছিল, যা ২০১৪ সালের অক্টোবরের পর থেকে সর্বোচ্চ।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটেরও (ডব্লিউটিআই) দাম বেড়েছে। সকাল ৯টার দিকে ডব্লিউটিআইর দাম ১ দশমিক ২৮ ডলার বেড়ে ৯৪ দশমিক ৩৮ ডলার হতে দেখা যায়। তবে একপর্যায়ে এর দাম ব্যারেলপ্রতি ৯৪ দশমিক ৯৪ ডলারে উঠেছিল, যা ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে সর্বোচ্চ।

রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্য বিশ্বের অর্থনৈতিক বাজারে বেশ প্রভাব ফেলেছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটন বলেছে, রাশিয়া যে কোনো সময় একটা অজুহাত তৈরি করে ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে।

নিউইয়র্কের ফরেন এক্সচেঞ্জ কোম্পানি ওনাডার বিশ্লেষক এডওয়ার্ড মোয়া বলেছেন, ‘ইউক্রেনে আক্রমণ হলে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১০০ ডলার ছাড়াতে কোনো বাধা থাকবে না। তার মতে, ইউক্রেন পরিস্থিতি সম্পর্কিত খবরাখবরের জন্য তেলের বাজার খুবই অস্থির ও সংবেদনশীল থাকতে পারে।’

অন্যদিকে, ওপেক ও এর মিত্ররা (ওপেক প্লাস) আগামী মার্চ পর্যন্ত দৈনিক চার লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন বাড়ানোর ঘোষণা দিলেও তা পূরণ করতে পারছে না।

আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা (আইইএ) জানিয়েছে, জানুয়ারিতে ওপেক প্লাসের তেল উৎপাদন ও লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ব্যবধান বেড়ে দৈনিক ৯ লাখ ব্যারেলে পৌঁছেছে। জেপি মরগানের হিসাবে, শুধু ওপেকের ক্ষেত্রে এই ব্যবধান দৈনিক ১২ লাখ ব্যারেল।

২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি পুনর্বহালে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান আলোচনার দিকেও নজর রাখছেন বিনিয়োগকারীরা। তবে সোমবার এক ইরানি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আলোচনার পথ ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে।’

তেলের দাম বাড়ায় উৎপাদন বাড়াতে সচেষ্ট যুক্তরাষ্ট্রের তেল কোম্পানিগুলো। গত সপ্তাহে তারা ৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তেল শোধনাগার চালু করেছে।


ডাকুয়া/ফিরোজ
আর্কাইভ