প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২২, ১০:২০ এএম
চীনের প্রেসিডেন্ট শি
জিনপিং বলেছেন, ‘একতরফা সুরক্ষার নীতি নিয়ে চললে তাতে কাউকেই
সুরক্ষা দেয়া যায় না। একমাত্র সহযোগিতা ও আস্থার ভিত্তিতেই করোনাকে হারানো
সম্ভব।’ দাভোস বৈঠকে ভার্চ্যুয়ালি অংশ নিয়ে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
করোনার কারণে দাভোস বৈঠক এবার ভার্চ্যুয়ালি হচ্ছে। সেখানেই ভাষণ দেন শি জিনপিং। তিনি বলেন, ‘ইতিহাস বারবার প্রমাণ করেছে, সংঘাতের মাধ্যমে কোনো সমস্যার সমাধান হয় না। এর ফলে বিপর্যয় দেখা দেয়।’ শি মনে করেন, একতরফা সুরক্ষার নীতি নিয়ে চললে তাতে কাউকেই সুরক্ষা দেয়া যায় না। এর ফলে অন্যদের স্বার্থে আঘাত লাগে মাত্র। সেই সঙ্গে নিজের স্বার্থও বিনষ্ট হয়। তার থেকেও খারাপ হলো দাদাগিরি। স্বাভাবিকভাবেই দেশগুলোর মধ্যে মতবিরোধ থাকবে, তারা ভিন্ন নীতি নেবে। কিন্তু তাই বলে দাদাগিরি মানা যায় না।
মতাদর্শগত শত্রুতার কথা তুলে অর্থনীতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মতো বিষয়গুলো নিয়ে রাজনীতি করা খুবই বিপজ্জনক। আমেরিকা বা অন্য কোনো দেশের নাম না নিয়ে দাভোস ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে শি জিনপিং দাদাগিরি নিয়ে সতর্ক করেন।
ট্রাম্পের সময় থেকে আমেরিকা ও চীনের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। বাইডেন প্রেসিডেন্ট হয়ে আসার পরও দুই দেশের সম্পর্কে বিশেষ উন্নতি হয়নি। তাইওয়ান, উইঘুর মুসলিম ছাড়াও দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সমস্যা প্রবল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শির মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। এ ছাড়া শি বলেছেন, ‘সহযোগিতা ও আস্থার ভিত্তিতেই করোনাকে হারানো সম্ভব।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাভোস ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে ভাষণ দিয়েছেন। মোদির দাবি, সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছে। এটাই হলো ভারতে বিনিয়োগ করার সেরা সময়। খবর ডয়চেভেলের।
মোদি বলেছেন, ‘ভারতে গত ছয় মাসে ১০ হাজার স্টার্টআপ কোম্পানি নথিভুক্ত হয়েছে। শিল্প ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সরকারি হস্তক্ষেপ রয়েছে। করপোরেট কর-ব্যবস্থার সরলীকরণ করা হয়েছে। আগামী ২৫ বছর ভারত ক্লিন ও গ্রিন শক্তির পথে চলবে। মোদি জানিয়েছেন, এক বছরে ভারতে প্রায় ১৬০ কোটি করোনার টিকা দেয়া হয়েছে। এটা বিশাল কৃতিত্বের বিষয়।
জেডআই/এম. জামান