প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২২, ১১:৩৭ পিএম
নতুন করে একটি হাইপারসনিক মিসাইলের
পরীক্ষার জেরে উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে মার্কিনিদের এই পদক্ষেপকে পক্ষপাতদুষ্ট এবং উসকানিমূলক বলে মন্তব্য করেছে
উত্তর কোরিয়া। সেই সঙ্গে দেশটি জানিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দাদাগিরিতে তারা ভয়
পায় না।
সম্প্রতি সমুদ্রে মিসাইল পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া। জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া প্রাথমিকভাবে মনে করেছিল, উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করেছে। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন জানান, হাইপারসনিক মিসাইলের পরীক্ষা হয়েছে। ওই পরীক্ষার পরেই উত্তর কোরিয়ায় ব্যালেস্টিক মিসাইল পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা।
উত্তর কোরিয়ার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘের একাধিক নিষেধাজ্ঞা আছে। তার ওপর যুক্ত হলো নতুন নিষেধাজ্ঞা। নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পরে এবার মুখ খুলল পিয়ংইয়ং। তাদের দাবি, সম্পূর্ণ বিনা কারণে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদপত্রে বৃহস্পতিবার দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের একটি বিবৃতি ছাপা হয়েছে। সেখানে কার্যত যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দেয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার সামনে মাথা নত করবে না পিয়ংইয়ং। আত্মরক্ষার্থে নতুন নতুন অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়া হবে।
উত্তর কোরিয়ার দাবি, কোনো দেশকে লক্ষ্য করে নতুন মিসাইলের পরীক্ষা করা হয়নি। নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডার এবং সামরিক শক্তির আধুনিকীকরণের উদ্দেশ্যেই এই পরীক্ষা করা হয়েছে। কোনো দেশের যাতে ক্ষতি না হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছিল। এর পরেই আমেরিকাকে এক হাত নিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমেরিকা বরাবরের মতো দাদাগিরি চালানোর চেষ্টা করছে। উত্তর কোরিয়া তাতে ভয় পায় না।
একটি সংবাদমাধ্যমে এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। তিনি বলেছেন, উত্তর কোরিয়া একের পর এক অস্ত্রের পরীক্ষা করে শক্তিসাম্য নষ্ট করছে। ইচ্ছে করেই তারা এ কাজ করছে। ভবিষ্যতেও উত্তর কোরিয়া এভাবে আরও অস্ত্রের পরীক্ষা করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
ব্লিংকেন বলেছেন, ‘অস্ত্রের পরীক্ষা বন্ধ করে উত্তর কোরিয়া যদি আলোচনার টেবিলে চায়, আমেরিকা তাকে স্বাগত জানাবে।’
জেডআই/ডা