প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২২, ০৩:৩৭ এএম
আন্তর্জাতিক
পাসপোর্ট সক্ষমতায় পাঁচ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান
‘হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স’-এর ২০২২ সালের করা রিপোর্টে ১৯৯ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের
অবস্থান ১০৩তম। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) প্রতিষ্ঠানটি এই সূচক প্রকাশ করেছে।
হ্যানলি
অ্যান্ড পার্টনার্সের এই সূচকে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক পাসপোর্ট সূচকে গত বছরের অক্টোবরের
তুলনায় ৫ ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। অক্টোবরে এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০৮তম।
কিন্তু এবার কসোভো এবং লিবিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে ১০৩তম অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক
এ প্রতিষ্ঠানটি ১৭ বছর ধরে এই সূচক প্রকাশ করে আসছে। তাদের সূচকে বিশ্বের কোন দেশের
পাসপোর্ট কতটা শক্তিশালী তার ওপরে র্যাংকিং প্রকাশ করা হয়। এই সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার
দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান (১০৮তম) এবং নেপালের (১০৫তম) চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। হ্যানলির
সূচক অনুযায়ী, বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়ে ৪০টি দেশে ভিসা ছাড়া কিংবা অন অ্যারাইভাল ভিসায়
ভ্রমণ করা যায়।
পার্শ্ববর্তী
বন্ধুরাষ্ট্র ভারত এই সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে। ৮৩তম অবস্থানে থাকা এ দেশটির
পাসপোর্টধারীরা বিশ্বের ৬০টি দেশে ভিসা ছাড়া যেতে পারবেন। এবারের এই সূচকে যৌথভাবে
শীর্ষে থাকা জাপান এবং সিঙ্গাপুরের পাসপোর্টধারীরা বিশ্বের ১৯২টি দেশে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ
সুবিধা পাবেন। এর মধ্যে মালদ্বীপের পাসপোর্ট সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে (৫৮তম) রয়েছে।
এ দেশটির পাসপোর্টধারীরা ৮৮ দেশে ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করতে পারবেন।
এ
বছর জার্মানি এবং দক্ষিণ কোরিয়া যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এই দুই দেশের পাসপোর্টধারীরা
বিশ্বের ১৯০টি দেশে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে এই সূচকে একেবারে তলানিতে রয়েছে
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ আফগানিস্তান। তারা আছে ১১তম অবস্থানে। এ দেশটির পাসপোর্টধারীরা মাত্র
২৬টি দেশে ভিসা ছাড়া প্রবেশ করতে পারেন।
মূলত
ভিসা ছাড়া একটি পাসপোর্ট দিয়ে কতটি দেশে ভ্রমণ করা যায় তার ওপর ভিত্তি করেই এই সূচক
তৈরি করা হয়। তবে করোনা মহামারির কারণে অনেক দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এবারের তালিকা
তৈরির ক্ষেত্রে সেটি বিবেচনায় নেয়া হয়নি। বিশ্বের ১৯৯ দেশের সূচকে কিছু কিছু দেশ যৌথ
অবস্থান পাওয়ায় হ্যানলি মোট ১১১টি অবস্থান নির্ধারণ করেছে।
এএমকে/এম. জামান