প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২২, ০৮:৫৪ এএম
যেকোনো উপায়ে ‘নরকের দুয়ার’ নামে
পরিচিত অগ্নিকুণ্ডটি বন্ধ করতে চায় তুর্কমেনিস্তান। এ জন্য উপায় খুঁজে বের করার
জন্য নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গুরবাঙ্গুলী বার্দিমুহামেদা। খবর
বিবিসির।
এক টেলিভিশন ভাষণে তুর্কমেনিস্তান প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ হারাচ্ছি যার জন্য আমরা উল্লেখযোগ্য মুনাফা পেতে পারি এবং আমাদের জনগণের কল্যাণে তাদের ব্যবহার করতে পারি। তাই আগুন নেভাতে সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।’
তুর্কমেনিস্তানের দরওয়াজা শহরের একটি প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র এটি। দীর্ঘদিন ধরে অগ্নিমুখটি অনবরত জ্বলছে বলে একে ‘নরকের দরজা’ বলা হয়। কারাকুম মরুভূমির অগ্নিমুখটির ব্যাস ৬৯ মিটার (২২৬ ফুট) ও গর্ত ৩০ মিটার (৯৮ ফুট) দীর্ঘ।
কারাকুম মরুভূমিতে ‘দারভাজা’ নামের এই গর্তটিকে ঘিরে রয়েছে নানা রহস্য। অনেকে বিশ্বাস করেন, ১৯৭১ সালে সোভিয়েত সামরিক মহড়ার সময় করা ভুলের কারণে এটি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু কানাডার অভিযাত্রী জর্জ কাউরুনিস ২০১৩ সালে গর্তের গভীরতা পরীক্ষা করে বলেছিলেন এটি কীভাবে শুরু হয়েছিল তা আসলে কেউ জানে না।
স্থানীয় ভূতাত্ত্বিকদের মতে, বিশাল গর্তটি ১৯৬০-এর দশকে তৈরি হয়েছিল। তবে শুধু ১৯৮০-এর দশকে এটির ভেতরে আগুন জ্বলে ওঠে। বর্তমানে অগ্নিকুণ্ডটি তুর্কমেনিস্তানের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ।
এর আগেও আগুন নেভানোর জন্য অসংখ্যবার চেষ্টা করা হয়েছে 'নরকের দুয়ার' নামে পরিচিত এই বিশাল অগ্নিকুণ্ডকে।
২০১০ সালেও বার্দিমুহামেদা বিশেষজ্ঞদের আগুন নেভানোর জন্য একটি উপায় খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
২০১৮ সালে, প্রেসিডেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে এটির নামকরণ করেন 'শাইনিং অব কারাকুম'।
জেডআই/এম. জামান