আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এখনও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানেনি। কিন্তু ইতোমধ্যে জলোচ্ছ্বাস আঘাত হেনেছে এই রাজ্যের উপকূলবর্তী শহর দিঘায়।
ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, দিঘা শহরের সমুদ্রের তীরবর্তী এলাকাগুলোয় পানি ঢুকে পড়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়তে থাকায় সেখানে পানি ধীরে ধীরে বাড়ছে। ভিডিওতে দেখা যায়, শহরের বিভিন্ন এলাকা আজ বুধবার (২৬ মে) সকালে জলমগ্ন হয়ে পড়ে। অনেক বাড়িতে ঢুকে পড়েছে সমুদ্রের পানি। পানি উঠেছে মূল রাস্তায়।
এ দিকে ভারতের আবহাওয়া বিভাগের কলকাতা আঞ্চলিক কার্যালয় বলেছে, ঘূর্ণিঝড়টি ৬ ঘণ্টা ধরে ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার বেগে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে।
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মঙ্গলার (২৫ মে) থেকেই দিঘায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষার জন্য গতকালই এই শহরের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হয়। তবে রাজ্য সরকারের সর্বোচ্চ সতর্কতা জারির পরও অনেক বাসিন্দাই শহরে রয়ে গেছেন। এমন বাসিন্দাদের মধ্যে অনেকেই এখন শহর ছেড়ে যাচ্ছেন।
আবহাওয়া বিভাগের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, ইয়াস পশ্চিমবঙ্গের দিঘা থেকে ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে রাজ্যের রাজধানী কলকাতায়। এ রাজ্যের সমুদ্র-উপকূলবর্তী এলাকা কালো মেঘে ছেয়ে আছে। বইছে ঝড়ো হাওয়া, সেই সঙ্গে বৃষ্টি।
কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আজ সকালে জানিয়েছে, সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কলকাতা বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আজ রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত এই বিমানবন্দরে কোনো বিমান ওঠানামা করবে না। একই ঘোষণা দিয়েছে ওড়িশা সরকারও। সেখানকার রাজধানী ভুবনেশ্বরের বিমানবন্দরও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের প্রধান সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ইয়াস তাণ্ডব দেখাতে পারে রাজ্যের মেদিনীপুরের দিঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর, মন্দারমণি অঞ্চলের সঙ্গে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সুন্দরবন অঞ্চলে।
দীপ/সবুজ/এম. জামান
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন