প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২১, ০৬:৩২ পিএম
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম
প্রভাবশালী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত লিভ টুগেদারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
করেছে। ফলে কট্টর ইসলামি অনুশাসনের দেশটিতে এখন থেকে অবিবাহিত নারী-পুরুষ একসঙ্গে
থাকতে পারবেন। আইনগতভাবে তাদেরকে কোনো ধরনের বাধার মুখে পড়তে হবে না। পাশাপাশি ‘সিভিল
ম্যারিজ লাইসেন্স’ ইস্যু করেছে তারা। শুক্রবারের সাপ্তাহিক ছুটি
বাতিল করা হয়েছে।
আমিরাতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ডব্লিউএএমের এক খবরে বলা হয়েছে, আঞ্চলিক প্রতিযোগীদের সঙ্গে এ ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে উপসাগরীয় এ দেশটি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের মোট জনসংখ্যা এক কোটি। এর মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগই বিদেশি। তার মধ্যে আছেন বিপুলসংখ্যক অমুসলিম। পক্ষান্তরে আমিরাত হলো একটি মুসলিম অতি রক্ষণশীল দেশ। কিন্তু আধুনিক হওয়ার জন্য তারা এরই মধ্যে আইন সংশোধন করেছে।
ডব্লিউএএম বলেছে, রাজধানী আবুধাবিতে প্রথম এই আইনে অমুসলিম হিসেবে ব্যক্তিগত স্ট্যাটাসে যে যুগল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন, তারা কানাডিয়ান। তাদেরকে প্রথম অমুসলিম দম্পতি হিসেবে সিভিল ম্যারিজ লাইসেন্স ইস্যু করা হয়েছে। আবুধাবি হলো সারা বিশ্বের দক্ষ এবং বিশেষজ্ঞদের শীর্ষস্থানীয় গন্তব্য। সেই অবস্থান ধরে রাখার জন্য এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্য হলো ইসলামের জন্মভূমি। সেখানে অমুসলিম- যেমন খ্রিস্টান এবং ইহুদিদের ক্ষেত্রে সিভিল ম্যারিজ একটি বিরল বিষয়। তবে এরই মধ্যে সিভিল ম্যারিজকে অনুমোদন দিয়েছে তিউনিসিয়া ও আলজেরিয়া। ওই অঞ্চলের কিছু দেশ সুনির্দিষ্ট কিছু শর্তের ভিত্তিতে ‘সিভিল ইউনিয়ন’কে অনুমোদন দিয়েছে। কিছু দেশ আবার বিদেশে সম্পন্ন হয়েছে এমন বিয়েকে ‘সিভিল ম্যারিজ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। বাকিরা মোটেও এই বিয়েকে স্বীকৃতি দেয় না।
অগ্রগতির জন্য সামাজিক উদারীকরণের জন্য বেশ কিছু আইন আমিরাত সংশোধন করেছে গত বছর। এর মধ্যে অবিবাহিত যুগলের লিভ টুগেদারের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এলকোহল পানের ওপর থেকে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদে রেসিডেন্সিরও প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এ মাসের শুরুর দিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত ঘোষণা দিয়েছে, তারা সাপ্তাহিক ছুটি পালন করবে পশ্চিমা স্টাইলে। অর্থাৎ এত দিন সেখানে সাপ্তাহিক ছুটি পালন করা হতো শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত। কিন্তু ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তা আর হবে না। এ সময় থেকে সেখানে সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে শনি ও রোববার।
জেডআই/এম. জামান