প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৪, ২০২১, ০৯:১৯ এএম
করোনা ভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রন। ভাইরাসটির নতুন এই ধরণ নিয়ে চিন্তিত গোটা বিশ্ব। করোনার অন্য ধরনগুলোর চেয়ে ওমিক্রন অনেক বেশি সংক্রামক বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি এটাও জানিয়েছেন তারা, ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে তুলনামূলক কম জটিলতা দেখা দেয়। এবারও যুক্তরাজ্যের এক গবেষণায় একই তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণা বলছে, অন্য ধরনগুলোর তুলনায় ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ কম।
ব্রিটিশ
সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে বিষয়টি
জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা
হয়েছে, ওমিক্রন নিয়ে গবেষণা করেছে
যুক্তরাজ্যের সরকারি সংস্থা হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি
(ইউকেএইচএসএ)। নভেম্বরের শুরু
থেকে যুক্তরাজ্যে ওমিক্রন ও ডেলটা ধরনে
আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে গবেষণাটি করা
হয়েছে। আমলে নেওয়া হয়েছে
দেশটিতে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি
হওয়া ১৩২ জনকেও।
তবে
ওমিক্রনের জেরে শারীরিক জটিলতা
নিয়ে সুখবর শোনালেও, নেতিবাচক তথ্যও উঠে এসেছে যুক্তরাজ্যের
এ গবেষণায়। গবেষণা বলছে, টিকার বুস্টার ডোজ নেওয়ার ১০
সপ্তাহ পর থেকেই শরীরে
ওমিক্রনের বিরুদ্ধে সুরক্ষার মাত্রা কমতে থাকে। আর
ধরনটি অত্যাধিক সংক্রামক হওয়ার কারণে হাসপাতালগুলোর ওপর আসতে পারে
বিশাল সংখ্যক রোগীর চাপ।
বয়স্কদের
নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা
বলছেন, এখন পর্যন্ত যারা
ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি
হয়েছেন, তাদের বেশিরভাগের বয়স চল্লিশের নিচে।
ধরনটিতে বৃদ্ধরা আক্রান্ত হওয়া শুরু করলে
পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে তা
নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ইউকেএইচএসএর
প্রধান নির্বাহী ডা. জেনি হ্যারিস
বলেন, ’সর্বশেষ গবেষণায় দেখা গেছে, করোনার
অন্য ধরনগুলোতে আক্রান্তদের চেয়ে ওমিক্রনে আক্রান্ত
রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি তুলনামূলক কম। এই মুহূর্তে
যুক্তরাজ্যে রোগী শনাক্তের হার
আকাশ ছোঁয়া। এ কারণে হাসপাতালে
ভর্তির ঝুঁকি কম থাকলেও, উল্লেখযোগ্যসংখ্যক
মানুষ মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।’
এর
আগে লন্ডনের ইমপিরিয়াল কলেজের প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা
হয়, ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত রোগীদের
হাসপাতালে থাকার ঝুঁকি ডেলটায় আক্রান্তদের তুলনায় ৪০ থেকে ৪৫
শতাংশ কম। যুক্তরাজ্যে ১
থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে
পাওয়া পিসিআর টেস্টের তথ্য বিশ্লেষণ করে
গবেষকেরা জানান, গবেষণা চলাকালে বিভিন্ন তথ্যের গড় পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে
তাঁরা দেখেছেন, ডেলটার তুলনায় ওমিক্রনে সংক্রমিত হলে হাসপাতালে থাকার
ঝুঁকি কম থাকে।
এআরআই