প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৯, ২০২১, ০৮:৫২ এএম
ইউরোপের দেশগুলোতে ত্বরিত বেগে ওমিক্রন ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জিন কাস্তেক্স। তিনি বলেন, 'নতুন বছরের শুরুতে ফ্রান্সে এটাই হবে করোনাভাইরাসের সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়া ধরন।'
ওমিক্রন ঠেকাতে ইতোমধ্যে ফ্রান্সে নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। বিট্রিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্বের অন্তত ৮৯টি দেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটি জানায়, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের থেকেও অনেক বেশি দ্রুততার সঙ্গে ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। আর মাত্র তিন দিনের মধ্যে দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট এর আক্রান্ত সংখ্যা।
করোনা ভাইরাসের নতুন এ ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী হার নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে ইউরোপ ও আমেরিকাতে। ওমিক্রনের বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের পরামর্শদাতা বিজ্ঞানীরা জানান, ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে আরও কঠোর ব্যবস্থা না নিলে বিশাল চাপের মুখে পড়বে হাসপাতালগুলো।
ইউরোপের দেশগুলোর মাঝে এখন পর্যন্ত ওমিক্রন সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে যুক্তরাজ্যে। শুক্রবার সেখানে ১৫ হাজার আক্রান্ত চিহ্নিত হয়েছে।
ইউরোপজুড়ে ওমিক্রন ঠেকাতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। নতুন করে নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করা হয়েছে জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ইউরোপে ৮ কোটি ৯০ লাখ কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়েছে এবং প্রায় ১৫ লাখ মানুষ কোভিড সংক্রান্ত কারণে মারা গেছে।
আয়ারল্যান্ডের সরকার জানায়, সেখানে মোট কোভিড সংক্রমণের এক তৃতীয়াংশ এখন ঘটছে ওমিক্রনের কারণে।
যুক্তরাজ্য থেকে যারা ভ্রমণ বা ব্যবসায়িক কাজে ফ্রান্সে যাতায়াত করেন, তাদের জন্য শুক্রবার রাত থেকে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে ফ্রান্স। এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগেই সীমান্ত পার হওয়ার জন্য ডোভার পোর্ট এবং ইউরোস্টার টার্মিনালে এর ফলে মানুষের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছিল।
শুধু ফ্রান্স নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত কোনো দেশ থেকে তাদের দেশে ঢুকতে হলে কোভিড পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল থাকতে হবে বলে ঘোষণা করেছে ইতালি, গ্রিস ও পর্তুগাল।
এআরআই/ডা