প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৮, ২০২১, ১২:১২ এএম
বেশিরভাগ দেশেরই আইনে নিষিদ্ধ স্বেচ্ছামৃত্যু; কিন্তু এবার বেশ কিছু কঠোর
শর্তসাপেক্ষে স্বেচ্ছামৃত্যুকে স্বীকৃতি দিলো অস্ট্রিয়া। শুধু স্বীকৃতিই নয়
শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) পার্লামেন্টে নতুন বিল পাস হয়েছে।
নতুন আইন অনুসারে, শর্তসাপেক্ষে অত্যন্ত
গুরুতর অসুস্থ মানুষ স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করতে পারবেন।
কি শর্ত পালন করতে হবে স্বেচ্ছামৃত্যু বরণে
ইচ্ছুক একজন মানুষকে?
নতুন পাস হওয়া এই আইনের নাম অ্যাসিসটেড
সুইসাইড অ্যাক্ট। সেখানে বলা হয়েছে, ১৮ বছরের বেশি বয়সীরাই
কেবল স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করতে পারবেন। তবে তাদেরই এই অনুমতি দেয়া হবে, যারা প্রাণঘাতী কোনো অসুখে
মৃত্যুপথযাত্রী কিংবা কোনো অসুখে পড়ে ভয়ঙ্কর দুর্বল হয়ে পড়েছেন, যা আর ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা
নেই।
প্রতিটি ক্ষেত্রে দুইজন চিকিৎসক আবেদন বিচার
করে দেখবেন। রোগী নিজের ইচ্ছেয় স্বেচ্ছামৃত্যুর পথ বেছে নিচ্ছেন কি না, তাও বিচার করে দেখবেন
তারা।
অসুস্থ কোনো মানুষ সাময়িক সংকটে কাতর হয়ে এই
আবেদন করেছে কি না, তা পর্যালোচনা করতে অন্তত
১২ সপ্তাহ সময় নেবেন চিকিৎসরকেরা। তবে অসুস্থতার কারণে যে রোগীর অদূর ভবিষ্যতে
মৃত্যু হতে পারে, তার আবেদন পর্যালোচনা করতে
সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহ সময় নেবেন চিকিৎসকেরা।
যিনি স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করতে চান, তাকে আইনজীবীর কাছে বা
নোটারির কাছে জানাতে হবে, তিনি ওষুধ খেয়ে
স্বেচ্ছামৃত্যু চান।
কেন এই আইন করতে হলো?
সম্প্রতি অস্ট্রিয়ার সাংবিধানিক আদালত
জানিয়েছেন, স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ না
করতে দেয়া মানবাধিকার ভঙ্গের সামিল। তারপরই নতুন আইন জরুরি ছিল।
সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, স্পেন ও লুক্সেমবুর্গে
স্বেচ্ছামৃত্যু স্বীকৃত। সুইজারল্যান্ডে বিদেশিরাও গিয়ে স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করতে
পারে। জার্মানি ও ফ্রান্সে আদালত স্বেচ্ছামৃত্যুকে আইনসঙ্গত করলেও সরকার কোনো আইন
করেনি। পর্তুগালের পার্লামেন্ট বিল পাস করলেও প্রেসিডেন্ট সেই বিলে সম্মতি দিতে
রাজি হননি।
অর্ণব/এএমকে