প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৭, ২০২১, ১১:৪৫ পিএম
করোনা চিকিৎসায় তিনটি নতুন ওষুধকে ছাড়পত্র দিয়ে আশা জাগালো ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি (ই এম
এ)।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) এক টুইট বার্তায় তারা জানায়, নতুন তিনটি ওষুধের মধ্যে দুটি ওষুধ করোনার সাধারণ চিকিৎসায় এবং একটি ওষুধ শুধু অতি জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করা যেতে
পারে। শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে তাদের এক
প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
টুইট বার্তায় ওষুধের বিবরণ উল্লেখ করে বলা হয়েছে, প্রথম ওষুধটির নাম জেভুডি। যুক্তরাজ্যের ওষুধ
প্রস্তুতকারক গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন এবং মার্কিন সংস্থা ভির বায়োটেকনোলজি যৌথ
উদ্যোগে এ ওষুধটি তৈরি করেছে। বৈজ্ঞানিক ভাষায় ওষুধটি ‘মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি
মেডিসিন’। ইএমএ জানিয়েছে, এ ওষুধ ব্যবহার
করলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন অনেকটাই কমানো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গবেষণাগারে তৈরি এ ওষুধ প্রোটিনজাত। এর আগে ইএমএ এ ধরনের আরও দুটি ওষুধকে ছাড়পত্র
দিয়েছিল।
দ্বিতীয় ওষুধটির নাম ‘কিনারেট’। সুইডেনের ফার্মা কোম্পানি বায়োভিটরাম তৈরি
করেছে এই ওষুধটি। শ্বাসনালীর জন্য তৈরি হয়েছে এ ওষুধ। করোনাভাইরাস শ্বাসনালীর মধ্য
দিয়ে গিয়ে ফুসফুসে বাসা বাঁধে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে শ্বাসনালীকে ভাইরাসমুক্ত রাখার
জন্য তৈরি এ ওষুধ কোভিডের চিকিৎসায় যথেষ্ট কার্যকরী বলে মনে করছে ইএমএ।
তৃতীয় ওষুধটি তৈরি করেছে ফাইজার। এ ওষুধটি নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। তবে ইএমএ
জানিয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে
ওষুধটি দেয়া যেতে পারে। তবে শিশুদের জন্য এ ওষুধ নয়। যাদের অক্সিজেন সহায়তা দিতে
হচ্ছে না, কেবল তাদেরই এ
ওষুধ দেয়া যাবে। ওষুধটির নাম ‘প্যাক্সলোভিড’। কোভিডের লক্ষণ দেখা দেয়ার পাঁচ
দিনের মধ্যে এ ওষুধের ব্যবহার শুরু করে দিতে হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংস্থা ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি। তারা ছাড়পত্র দেয়ার পর
আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় কমিশনকে ছাড়পত্র দিতে হবে। তারপরেই বাজারে আসবে তিনটি
নতুন ওষুধ। ওমিক্রন নিয়ে ব্যতিব্যস্ত ইউরোপ। ফ্রান্স যুক্তরাজ্য থেকে সে দেশে
ঢোকার ব্যাপারে কড়াকড়ি শুরু করেছে। জার্মানিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কোভিডের
চতুর্থ ঢেউ চলছে। এই পরিস্থিতিতে তিনটি নতুন ওষুধ মানুষের মনে আশার সঞ্চার করেছে।