প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০২১, ০৯:৪২ পিএম
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে এসেছেন। সম্পর্ক
স্বাভাবিকের পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর এটি প্রথম আমিরাত সফর।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) উপসাগরীয় এই দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ
আল-নাহিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। খবর রয়টার্সের।
আবুধাবিতে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত আমির হায়েক জানিয়েছেন, এ বৈঠকে ইরান ইস্যু স্থান পেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ ৬ বিশ্বশক্তি ইরান পরমাণু চুক্তি বাঁচানোর চেষ্টায় আলোচনা
চালানোর এই সময়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আমিরাত সফর করছেন। ভিয়েনায় ইরানের পরমাণু
চুক্তি নিয়ে আলোচনার বিরুদ্ধে ইসরায়েল সম্প্রতি তাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার
করছে।
ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত আমির হায়েক ইরান নিয়ে দুই নেতার আলোচনার বিস্তারিত প্রকাশ
করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তবে ইসরায়েলের সেনা বেতারে তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী কেবল ইরান নিয়ে কথা বলতে
আবুধাবিতে আসেননি।’
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান এবং মরক্কোর সঙ্গে ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে। এই চার দেশের প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রী হিসাবে রোববার (১২ ডিসেম্বর) আমিরাত সফরে যান বেনেট।
দুই দেশের কূটনৈতিক পদক্ষেপের পথে হাঁটার অন্যতম কারণ হচ্ছে, ইরানের কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ। তবে সংযুক্ত আরব
আমিরাত ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টাও চালাচ্ছে।
এদিকে ইসরায়েলকে আবারও মুসলিম বিশ্বের এক নম্বর শত্রু হিসেবে ঘোষণা করেছে ইরান।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে আসার পর এক প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদেহ এ ঘোষণা দিয়েছেন।
বেনেটের আরব আমিরাত সফরের প্রতিবাদ জানিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদ
আন্দোলন। এ সফরকে ফিলিস্তিনি জাতির প্রতি আমিরাতের বিশ্বাসঘাতকতা বলে উল্লেখ করেছে
সংগঠনটি।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ইসরায়েল মুসলিম বিশ্বের প্রধান শত্রু ছিল, আছে এবং থাকবে।
অর্ণব/ডা