প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০২১, ১২:৫২ এএম
বিশ্বজুড়ে নতুন আতঙ্কের
নাম ওমিক্রন। এবার করোনাভাইরাসের এই নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন এক
ব্রিটিশ নাগরিক। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নিজেই এই মৃত্যুর খবর
নিশ্চিত করেছেন। সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ
তথ্য জানিয়েছে।
পশ্চিম লন্ডনের প্যাডিংটনের কাছে একটি টিকাদান ক্লিনিক পরিদর্শনে গিয়ে বরিস জনসন বলেন, ‘হ্যাঁ, দুঃখজনকভাবে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে। ওমিক্রনে আক্রান্ত একজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। খুবই দুঃখজনক ঘটনা যে একজন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। ভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্ট ভয়ঙ্কর নয় এমন ধারণা সরিয়ে রাখা উচিত। যেসব জায়গায় জনসংখ্যা বেশি সেখানেই ছড়াতে পারে করোনা। তাই এই পরিস্থিতিতে দ্রুত বুস্টার নিয়ে নিতে হবে।’
তিনি জানিয়েছেন, লন্ডনে মোট করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৪০ শতাংশের শরীরে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের হদিস পাওয়া গেছে। রোববারই তিনি জানিয়েছেন ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ইংল্যান্ডের সব প্রাপ্তবয়স্ককে বুস্টার ডোজ দেয়ার কাজ শেষ হবে।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এই বছরের শুরুতে ভারতে দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় সবচেয়ে বেশি থাবা বিস্তার করে। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে এই বছরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য দায়ী ছিল এই ডেল্টা। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর দেখা যায়, এই ভ্যারিয়েন্টের বিপুল সংখ্যক মিউটেশন হয়েছে। গত মাসে ওমিক্রনের প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলোর ওপর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে শুরু করে বিভিন্ন দেশ। এর বিস্তারকে আটকানোর জন্য অভ্যন্তরীণ বিধিনিষেধ পুনরায় চালু হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু বলছে, ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওমিক্রন ৬৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় দ্রুত সংক্রমণ লক্ষ করা গেছে।
জেডআই/এম. জামান
