প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২১, ১১:৩৫ পিএম
নিজেদেরকে
বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র বলে বিস্ময়কর দাবি চীনের। ৯ এবং ১০ ডিসেম্বর বাইডেন প্রশাসন
দ্বারা পরিচালিত বহুল প্রত্যাশিত সামিট ফর ডেমোক্রেসিতে কার্যত বিরক্ত হয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট
শি জিনপিং এই দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) অধীনে একমাত্র
চীনেই সত্যিকারের গণতন্ত্র বিদ্যমান।’
সম্প্রতি
গণতন্ত্র রক্ষা নিয়ে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে আমেরিকা। এতে আমন্ত্রণ জানানো হয় ভারতকেও।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, আমন্ত্রিতের তালিকায় ছিল না চীন ও রাশিয়ার নাম। অথচ গণতন্ত্রের
আলোচনা সভায় আমেরিকা আমন্ত্রণ জানিয়েছে তাইওয়ানকে, যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ,
বরাবর তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে আসছে চীন। ফলে বেইজিং মনে করছে, গণতন্ত্র রক্ষার
নামে চীনের বিরুদ্ধে কৌশলগত বলয় তৈরি করছে ওয়াশিংটন। আর তাই আমেরিকাকে পাল্টা জবাব দিতে গিয়েই
তারা এই দাবি করল।
শুক্রবার
(১০ ডিসেম্বর) মার্কিন গণতন্ত্র সম্মেলনের পর এ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আমেরিকার
‘গণতান্ত্রিক অস্থিরতা’ রয়েছে বলে দাবি করে চীনা মুখপাত্র ওয়াং
ওয়েনবিন বলেন, ‘গণতন্ত্র কোনো কৌশলগত হাতিয়ার নয়, এটি মানবিক মূল্যবোধ। চলতি সপ্তাহের
মার্কিন গণতন্ত্র সম্মেলন আসলে আমেরিকার আধিপত্যকে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়াস। এবং এটাই
সবচেয়ে বড় অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ।’
তিনি
আরও বলেন, ‘গণতন্ত্রের স্বঘোষিত ধ্বজাধারীর (আমেরিকা) মধ্যেই গণতান্ত্রিক অস্থিরতা
ও খামতি রয়েছে।’ বলে রাখা ভালো, মার্কিন গণতন্ত্র সম্মেলনের
আগেই একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করে বেইজিং। সেখানে দাবি করা হয়, চীনেই বিশ্বের সবচেয়ে বড়
গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য,
ডিসেম্বর মাসের ৯-১০ তারিখ ‘সামিট ফর ডেমোক্রেসি’ নামে ভার্চুয়াল আলোচনাচক্রের আয়োজন
করে আমেরিকা। বিশ্বে গণতন্ত্রকে কীভাবে মজবুত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে এই
সভায়।
মূলত
তিনটি বিষয়ে আলোচনা হতে চলেছে। একনায়কতন্ত্রের বিরোধিতা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই
ও মানবাধিকারকে স্বীকৃতি দেয়া। কিন্তু এমন এক আলোচনা সভায় চীন, রাশিয়ার মতো রাষ্ট্রের
অনুপস্থিতি বিতর্ক বাড়িয়েছে।
আমন্ত্রিতদের
তালিকায় ছিল না মিয়ানমার ও আফগানিস্তানও। কিছুদিন আগেই গণতন্ত্রকে পদদলিত করে মিয়ানমারে
সেনা অভ্যুত্থান হয়। এদিকে আফগানিস্তানও তালেবানের দখলে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের আমন্ত্রণ
জানানো হয়নি। আমন্ত্রিতদের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে তুরস্ক, সৌদি আরব ও আরব আমিরশাহী।
নূর/এএমকে/এম. জামান