প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২১, ০৮:৪২ পিএম
চীনে
বসবাসরত উইঘুর মুসলিম ও অন্য সংখ্যালঘুদের ওপর গণহত্যা চালানোর দায়ে চীনকে
অভিযুক্ত করা হয়েছে। প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে চীনা সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে
যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্বাধীন ট্রাইব্যুনাল। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই
তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরা।
বৃহস্পতিবার
(৯ ডিসেম্বর) উইঘুর ট্রাইব্যুনালের রায়ে বলা হয়েছে, সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর জাতিগত নিধন ও নিপীড়ন চালানোর
মানসিকতা থেকেই চীনা কর্তৃপক্ষ তাদের ওপর জন্ম নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য বাধ্যতামূলক
বিভিন্ন পদক্ষেপ চাপিয়ে দিচ্ছে। চীনা কর্তৃপক্ষের এমন পদক্ষেপকে কার্যত গণহত্যা
হিসেবেই উল্লেখ করেছে ট্রাইব্যুনাল।
উইঘুর ট্রাইব্যুনালের প্রধান এবং মানবাধিকারবিষয়ক প্রখ্যাত আইনজীবী স্যার জিওফ্রে নাইস জানান, সংখ্যালঘুদের জনসংখ্যা কমাতে চীনা সরকার জোর করে বিভিন্ন কাজ করছে। তাদের
ওপর জন্ম নিয়ন্ত্রণসহ বাধ্যতামূলক নানা পদক্ষেপ চাপিয়ে দিচ্ছে তারা।
তিনি আরও
বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের
সবাই প্রশ্নাতীতভাবেই এ বিষয়ে একমত হয়েছে যে, নানা অমানবিক পদক্ষেপের মাধ্যমে ও মানবাধিকার লংঘন করে চীনা সরকার উইঘুর
মুসলিমদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে।’
বিশেষজ্ঞদের
ধারণা, জিনজিয়াং
প্রদেশে চীন প্রায় ১০ লাখ উইঘুর মুসলিম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের আটকে রেখেছে।
এর উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদের মধ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা। চীনের মূলধারার হান
জনগোষ্ঠীকে জিনজিয়াংয়ের কিছু এলাকায় বসবাসের জন্য স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া
উইঘুর শিশুদের তাদের পরিবারের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হচ্ছে বলেও অভিযোগ
রয়েছে।
আইনি স্বীকৃতি না থাকলেও এই ট্রাইব্যুনালের রায়ের আন্তর্জাতিক গুরুত্ব রয়েছে। কারণ উইঘুর ট্রাইব্যুনালের প্রধান স্যার জিওফ্রে নাইস ইতিপূর্বে গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে সাবেক সার্বিয়ান প্রেসিডেন্ট স্লোবোদান মিলোসেভিকের বিচারকার্যেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
অর্ণব/ডা.