• ঢাকা বুধবার
    ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

যে যন্ত্রে প্রবেশ করলে হয় কষ্টহীন মৃত্যু

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২১, ০৯:৫৮ পিএম

যে যন্ত্রে প্রবেশ করলে হয় কষ্টহীন মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ব্যথা-বেদনাবিহীন অনায়াস মৃত্যু, তাও এক মিনিটের কম সময়ে। এমনই এক যন্ত্রের আইনি স্বীকৃতি দিলো সুইজারল্যান্ড। দেখতে কফিন আকৃতির ওই যন্ত্রে কৃত্রিম উপায়ে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমিয়ে এক মিনিটেরও কম সময়ে মৃত্যুর ব্যবস্থা করা হয়। যন্ত্রটির নাম 'সারকো'

'এগজিট ইন্টারন্যাশনাল' নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই যন্ত্রটি তৈরি করেছে। 'ডক্টর ডেথ' হিসেবেও পরিচিত সংস্থাটির প্রধান ফিলিপ নিটশে রয়েছেন এর পেছনে।

সংস্থাটির দাবি, বাইরে থেকে যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি ভেতর থেকেও তা চালু করা যাবে। অর্থাৎ মৃত্যুর প্রত্যাশায় যে ব্যক্তি ওই যন্ত্রের ভেতর ঢুকবেন, তিনি নিজেও যন্ত্রটি চালাতে পারবেন।

সাধারণত দেখা যায়, মরণেচ্ছু ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই পরিস্থিতিতে তারা অচেতন হয়ে পড়েন। পেশিশক্তি ব্যবহার করে কোনো কাজ করার মতো পরিস্থিতি তাদের বেশির ভাগেরই থাকে না। এই যন্ত্রে তারও সমাধান করা গেছে বলে দাবি সংস্থাটির।

‘এগজিট ইন্টারন্যাশনাল’-এর দাবি, ওই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে শুধু চোখের পাতার নড়াচাড়া আঁচ করেই যন্ত্র সংকেত গ্রহণ করতে পারবে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, আপনার যেখানে প্রয়োজন সেখানেই নিয়ে যাওয়া যাবে সারকোকে। মূল মেশিন থেকে সারকোকে আলাদা করলে তা দেখতে হবে অনেকটা কফিনের মতো। সেই কফিনে একবার শুয়ে পড়লেই সব শেষ!

বিশেষ ক্ষেত্রে সুইৎজারল্যান্ডে আত্মহত্যায় সহায়তা প্রদান করা আইনিভাবে বৈধ। গত বছর অন্তত ১,৩০০ মানুষ এই প্রক্রিয়ার সাহায্য নিয়েছেন। তবে এবার আইনি বৈধতা পেল আত্মহত্যার যন্ত্র 'সারকো'

‘ডক্টর ডেথ’ চিকিৎসক ফিলিপ বলছেন, 'আগামী বছরের মধ্যে সারকো ব্যবহারের উপযোগী হয়ে যাবে সুইৎজারল্যান্ডে। এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পে বহু অর্থব্যয় হয়েছে। কিন্তু আমাদের আশা, আমরা প্রয়োগের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছি।'

তবে যন্ত্র নিয়ে সমালোচনাও কম হচ্ছে না। অনেকে বলছেন যে, এই যন্ত্রটি আসলে গ্যাস চেম্বারকে মহিমান্বিত করার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। অনেকের মতে, এই যন্ত্রের মাধ্যমে প্রকৃতপক্ষে আত্মহত্যাকে সব ক্ষেত্রে মান্যতা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

জানা যায়, এখন পর্যন্ত এমন দু’টি সারকো যন্ত্র তৈরি করা হয়েছে। তবে ভবিষ্যৎ চাহিদার কথা মাথায় রেখে আরও একটি যন্ত্রের থ্রি-ডি প্রিন্টিং শুরু করেছে এগজিট ইন্টারন্যাশনাল। আগামী বছর থেকে সুইজারল্যান্ডে এই পরিষেবা দেয়া শুরু করাই লক্ষ্য সংস্থাটির।


অর্ণব/ডাকুয়া

আর্কাইভ