প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২১, ০৪:৩৪ এএম
করোনার
রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ
করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন
(ইইউ) শোনালো আশার বাণী। ওমিক্রন ঠেকাতে
কার্যকর করোনা টিকা আগামী ৩-৪ মাসের
মধ্যেই ইউরোপের বাজারে পাওয়া যাবে বলে আশা করছে সংস্থাটি। তবে বর্তমানে যে করোনা টিকাগুলো
বাজারে আছে, সেসবও সন্তোষজনক সুরক্ষা দিতে সক্ষম বলে মনে করে ইইউ।
ইইউয়ের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউরোপিয়ান মেডিসিন্স এজেন্সির (ইএমএ) নির্বাহী পরিচালক ইমের কুক মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) ইউরোপীয় পার্লামেন্টে এ সম্পর্কে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এটি নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি যে করোনার রূপান্তরিত নতুন ধরনটির বিস্তার ঠেকাতে টিকা কোম্পানিগুলো তাদের টিকার কোনো পরিবর্তিত সংস্করণ আনবে কি না; কিন্তু তারা যদি এই ক্ষেত্রে কাজ শুরু করে তাহলে আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যেই এটি (টিকার পরিবর্তিত সংস্করণ) আসা সম্ভব।’
‘আমরা ৩-৪ মাসের কথা উল্লেখ করছি; কারণ, টিকা বিষয়ক গবেষণা, সিকোয়েন্স পরিবর্তন ও মেডিকেল ট্রায়াল এই সময়সীমার মধ্যে শেষ হওয়া সম্ভব। আমরা আরও বলতে চাই, করোনা টিকার পরিবর্তিত সংস্করনের অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ইএমএর আছে।’
মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি মডার্নার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টেফানি ব্যানসেল সম্প্রতি বার্তা সংস্থা রয়টার্সের মাধ্যমে সতর্কবার্তা দিয়েছেন- মূল করোনাভাইরাস ও তার অতি সংক্রামক রূপান্তরিত ধরন ডেল্টার বিরুদ্ধে বর্তমান বাজারের সহজলভ্য করোনা টিকাগুলো যতটা কার্যকর ছিল, নতুন ধরন ওমিক্রনের ক্ষেত্রে ততটা কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
তবে মডার্নার প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে এ বিষয়ে একমত নন ইএমএর নির্বাহী পরিচালক। ইউরোপীয় পার্লামেন্টে এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যদি এই নতুন ধরনটি আশঙ্কাজনক হারে ছড়িয়েও পড়ে, তবুও বর্তমান বাজারে সহজলভ্য করোনা টিকাগুলো প্রয়োজনীয় সুরক্ষা দিতে সক্ষম। এ বিষয়ে ইএমএর অবস্থান দৃঢ়।’
গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয় করোনার রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রন। ইতোমধ্যে দেশটিতে এই ধরনে আক্রান্ত ২২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে, ২৪ নভেম্বরের ৫ দিন আগে, ১৯ নভেম্বর নেদারল্যান্ডসে শনাক্ত হয়েছিল ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী। দেশটির সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কর্তৃপক্ষ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ মঙ্গলবার জানিয়েছে এ তথ্য।
দক্ষিণ
আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডস ছাড়াও
অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, বতসোয়ানা, ব্রিটেন, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, হংকং, ইসরায়েল, ইতালিসহ ১৭ দেশে এই
ধরনটিতে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে ওমিক্রনকে ‘উদ্বেগজনক ধরন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
শামীম/এম. জামান