প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২১, ০৬:১৮ পিএম
কঙ্গোতে (ডিআর কঙ্গো) বন্দুকধারীদের হামলায় কমপক্ষে ২২ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় অবস্থিত
অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত সাধারণ মানুষের একটি ক্যাম্পে এই হামলা ও প্রাণহানির
ঘটনা ঘটে। নিহতদের সবাই বেসামরিক নাগরিক। হামলার ঘটনা কবে ঘটেছে সেটি জানানো হয়নি।
একজন সহায়তা কর্মী এবং অধিকারবিষয়ক সংগঠনের একজন নেতার বরাত দিয়ে সোমবার (২৯
নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে
এএফপি ও আল-জাজিরা।
কঙ্গোর রেডক্রসের কো-অর্ডিনেটর ম্যাম্বো বাপু ম্যান্স সোমবার এএফপিকে
জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের পর নিহত ২০ জনকে তাৎক্ষণিকভাবে
দুটি কবরস্থানে দাফন করা হয়। হামলায় আহত আরও দুজন পরে মারা গেলে তাদেরও ওই
কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে দেশটির ইতুরি প্রদেশের ওই একই ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছিল
বন্দুকধারীরা। প্রাণঘাতী ওই হামলায় ২৯ জন নিহত হয়েছিলেন। তবে মানবাধিকার গ্রুপের
প্রেসিডেন্ট চ্যারিট বানজা মৃতের সংখ্যা ২২ বলে জানিয়েছিলেন।
সর্বশেষ হামলার পর চ্যারিট বানজা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, ‘দেশের এই অংশে অবস্থিত অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত সাধারণ মানুষের এই ক্যাম্পে
এক সপ্তাহের ব্যবধানে মোট তিনবার হামলার ঘটনা ঘটল। এই তিন হামলায় ৫০ জনের বেশি
মানুষ নিহত হয়েছেন এবং সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা কিভু সিকিউরিটি ট্র্যাকার (কেএসটি) আফ্রিকার এই
অঞ্চলে সহিংসতা পর্যবেক্ষণ করে থাকে। কঙ্গোতে বন্দুকধারীদের হামলায় চালানো সর্বশেষ
হামলায় নিহতের সংখ্যাটি তারাও নিশ্চিত করেছে।
অন্যদিকে কঙ্গোর ইতুরি অঞ্চলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জুয়েলস
এনগঙ্গো জানিয়েছেন, কোডেকো বিদ্রোহীদের বিতাড়িত করা হয়েছে। তবে এর
বেশি আর কোনো তথ্য জানাননি তিনি।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, কঙ্গোর ইতুরি প্রদেশের জুগু অঞ্চলে ২০১৭ সাল
থেকে চালানো একের পর এক হামলায় কোডেকো মিলিশিয়ার যোদ্ধারা শত শত বেসামরিক মানুষকে
হত্যা করেছে। এ ছাড়া হাজার হাজার মানুষকে তাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতেও বাধ্য
করেছে গোষ্ঠীটি।
ডিআর কঙ্গোর উত্তরের সীমান্ত লাগোয়া দেশগুলো হলো উগান্ডা, রুয়ান্ডা ও বুরুন্ডি। ওই অঞ্চলে শতাধিক সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ২০০৩ সালে গৃহযুদ্ধ শেষ হলেও এখনও এ রকম হামলা প্রায়ই হয়।
শামীম/এএমকে