প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২১, ১২:৪৭ এএম
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায়
ওমিক্রন নামে করোনাভাইরাসের নতুন এক ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান মিলেছে। এরই মধ্যে
বিশ্বের অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়ঙ্কর এই ধরন। আতঙ্কে অনেক দেশই তাদের সীমান্তে
কড়াকড়ি আরোপ করেছে। এবার সেই তালিকায় যোগ দিলো ভারত। বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’
হিসেবে ঘোষণা করেছে তারা।
রোববার (২৮ নভেম্বর) নতুন এসব নির্দেশনা জারি করেছে ভারত সরকার। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বাংলাদেশ, বিটেন, সমগ্র ইউরোপ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, বতসোয়ানা, চীন, মরিশাস, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, সিঙ্গাপুর, হংকং এবং ইসরাইলকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়।
এর ফলে তালিকায় থাকা দেশগুলো থেকে ভারতে যাওয়া বা এসব দেশে ট্রানজিটে অবস্থান করা ভ্রমণকারীদের জন্য আরটি-পিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসার পরই ভ্রমণকারীরা বিমানবন্দর ছাড়তে পারবেন। অন্য কোনো কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার আগেও পরীক্ষার ফল নেগেটিভ হতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবর অনুসারে, করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরন প্রতিরোধে এসব পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। দীর্ঘ ২০ মাসেরও বেশি সময় পর গত ২৬ নভেম্বর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক ফ্লাইট ফের শুরুর ঘোষণা দিয়েছিল ভারতীয় প্রশাসন। আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে এসব ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার কথা ছিল। বর্তমানে দ্বিপক্ষীয় এয়ার বাবল চুক্তির আওতায় বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের সঙ্গে সীমিত সংখ্যক ফ্লাইট চালু রয়েছে ভারতের।
ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা
অনুসারে, ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশগুলো থেকে
ভ্রমণকারী অথবা ট্রানজিটগ্রহীতাদের ভারতে পৌঁছানোর পরপরই আরটি-পিসিআর টেস্ট করাতে
হবে এবং এর ফলাফল আসা পর্যন্ত বিমানবন্দরেই অপেক্ষা করতে হবে।
ভ্রমণকারীদের কেউ করোনা পজিটিভ শনাক্ত হলে ভারত সরকার নির্ধারিত জায়গায় আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়া হবে এবং নেগেটিভ শনাক্ত না হওয়া পর্যন্ত তাদের সেখানেই থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে ভ্রমণকারী ওমিক্রন বা করোনার অন্য যেকোনো ধরনেই আক্রান্ত হোন না কেন, সবারই আইসোলেশনে যেতে হবে এবং চিকিৎসকের ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই কেবল তারা ছাড়া পাবেন।
‘ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশগুলো থেকে যাওয়া ভ্রমণকারীরা করোনা নেগেটিভ শনাক্ত হলেও তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা এবং অষ্টম দিনে করোনা টেস্ট করানো বাধ্যতামূলক। ওই পরীক্ষায় তারা করোনা নেগেটিভ শনাক্ত হলে ভারত সরকারের কোভিড-১৯ হেল্পলাইনে তা জানাতে হবে। এ ছাড়া, ভ্রমণকারীদের সবশেষ ১৪ দিনের ভ্রমণবৃত্তান্তও জমা দিতে হবে।
জেডআই/এম. জামান