প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২১, ০৫:১০ এএম
পারিবারিক
কলহের জেরে এক ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজের দুই সন্তানসহ পাঁচজনকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় এক পুলিশ কর্মকর্তাও প্রাণ হারিয়েছেন।
আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। ভারতের ত্রিপুরায় ঘটেছে এ ঘটনা।
ঘাতক স্থানীয় বেশ কয়েকটি বাড়িতেও ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় এই কাণ্ড ঘটিয়েছে ওই ব্যক্তি। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত প্রদীপ দেবরায় ত্রিপুরার উত্তর রামচন্দ্রঘাটের শেওড়াতুলির বাসিন্দা। সে পেশায় রাজমিস্ত্রি। স্ত্রীর সামনে ধারাল অস্ত্র দিয়ে দুই কন্যাসন্তানকে কোপায় সে। চোখের সামনে নিজের সন্তানদের ওপর অত্যাচার মানতে পারেননি প্রদীপের স্ত্রী মীনা পাল দেবরায়। দুই সন্তানকে বাঁচাতে এগিয়ে যান তিনি। সেই সময় তাকেও আঘাত করে প্রদীপ। অবস্থা খারাপ দেখে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মীনা। এরপর স্ত্রীকে ধরতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দৌঁড়তে শুরু করে প্রদীপ।
স্ত্রীকে তাড়া করার পথে একটি অটো রিকশা দেখতে পায় সে। ওই অটোতে চালকসহ মোট পাঁচজন ছিলেন। হাতের ইশারায় অটোটি দাঁড় করায় প্রদীপ। এরপর হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে অটোর সামনের কাচে আঘাত করে। অটোয় থাকা যাত্রীদেরও আঘাত করে সে। এসময় একজনের গুরুতর আহত হন। খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছান খোয়াই থানার সেকেন্ড অফিসার সত্যজিৎ মল্লিক। তাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে সে।
রক্তাক্ত
অবস্থায় সবাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযুক্তের স্ত্রীর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। অভিযুক্তের দুই সন্তান, পুলিশ কর্মকর্তা, অটো চালকসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। হত্যার কারণ এখনো জানতে পারেনি পুলিশ।
শামীম