• ঢাকা রবিবার
    ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

দ্বিতীয়বার ক্ষমা চাইলেন মোদি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২১, ১০:৩৯ পিএম

দ্বিতীয়বার ক্ষমা চাইলেন মোদি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আবারও ব্যাকফুটে নরেন্দ্র মোদি। আবারও ক্ষমা চাইলেন তিনি। মাত্র দু’টি শব্দ- ‘আমি ক্ষমা প্রার্থী’। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এই শব্দ দু’টি শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখে। আর এই শব্দ দু’টিকেই বিরোধীরা হাতিয়ার করে ময়দানে নেমেছেন। কেউ বলেছেন, ‘ঔদ্ধত্যের বিনাশ হলো।’ কেউ আবার বলেছেন, ‘এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে ব্যাকফুটে চলে গেছেন প্রধানমন্ত্রী।’

দু’টি ভিন্ন ঘটনা। একটি কোভিড-১৯, অন্যটি কৃষি আইন। দ্বিতীয় ঘটনাটি শুক্রবারই ঘটেছে। মোদি সরকারের কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা। আর যে ঘোষণা করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। যার প্রেক্ষিতে তাকে বলতে হয়েছে, ‘দেশবাসীর কাছে স্বচ্ছ হৃদয়ে আমি ক্ষমা চাইছি। কৃষকদের আমরা বোঝাতে পারিনি। আমাদের চেষ্টায় কোনো ত্রুটি ছিল।’ এই ঘোষণার পরই বিরোধীরা সরব— কৃষকদের জয়, ঔদ্ধত্যের পরাজয়।

প্রথম ঘটনাটি হলো, ২০২০-র মার্চে কোভিড সংক্রমণের জন্য লকডাউনের ঘোষণা। যার জেরে হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক, সাধারণ মানুষকে চরম সঙ্কটের মুখে পড়তে হয়েছে। তাঁর সেই সিদ্ধান্তে দেশ জুড়ে বিপুল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল মোদিকে। শেষমেশ তাঁকে বলতে হয়েছিল, ‘এই কঠিন পদক্ষেপ আপনাদের জীবনে অনেক সমস্যা ডেকে এনেছে। বিশেষ করে গরিব মানুষের। তার জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থী। জানি আপনাদের মধ্যে কিছু মানুষ আমার এই সিদ্ধান্তে অখুশি হয়েছিলেন। কিন্তু এই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করতে এই সিদ্ধান্ত নিতেই হতো।’

গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী- এই দীর্ঘ সফরে নানা বিতর্কের মুখে পড়েছেন মোদি। গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। তদন্তও চলে। তবে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। সে সময়ও মোদির ক্ষমা চাওয়ার জন্য জোরালো দাবি উঠেছিল। কিন্তু তিনি চাননি। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার পর বলেছিলেন, ‘যদি কোনো অপরাধ করে থাকি তা হলে আমাকে ক্ষমা করা উচিত নয়।’ তখনও তিনি নিজের ক্ষমা না চাওয়ার সপক্ষে জোর গলায় বলেছিলেন, ‘যা বলার ছিল তাই বলে দিয়েছি। জনতার আদালত থেকে আমি স্বচ্ছভাবে বেরিয়ে এসেছি।’

২০১৪-র লোকসভায় বিপুল ভোটে জয় পায় বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী হন মোদি। তার দু’বছরের মধ্যেই ২০১৬-র নভেম্বরে তার নোটবন্দির সিদ্ধান্তে সঙ্কটের মুখে দেশবাসী। দেশের আর্থিক বৃদ্ধি ধাক্কা খায়। বিপুল সমালোচনার মুখে পড়তে হয় মোদিকে। তখনও প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনার দাবি উঠলেও ক্ষমা চাননি তিনি। এর পর জিএসটি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)-এর মতো ঘটনায় তোলপাড় হয় গোটা দেশ। কিন্তু সেই ঘটনার জন্যও তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে দেখা যায়নি। কিন্তু লকডাউন, কৃষক আইন তাকে রেহাই দেয়নি। প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন মোদি।

 

শামীম/ডাকুয়া

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ