প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২১, ০২:০০ এএম
ফাইজার বাংলাদেশসহ ৯৫টি দেশের ওষুধ কোম্পানিকে নিজেদের তৈরি করোনার ওষুধ
উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) জাতিসংঘ সমর্থিত গ্রুপ
মেডিসিনস প্যাটেন্ট পুলের (এমপিপি) সঙ্গে চুক্তি হয়েছে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল
জায়ান্টদের। এর ফলে নির্ধারিত দেশগুলোর ওষুধ নির্মাতারা ফাইজারের তৈরি
অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ প্যাক্সলোভিড উৎপাদনের লাইসেন্স পাচ্ছে।
জেনেভাভিত্তিক গ্রুপ এমপিপির সঙ্গে একই ধরনের চুক্তির আওতায় মার্কের তৈরি
করোনার ওষুধ মলনুপিরাভির তৈরির লাইসেন্স পেয়েছিল বাংলাদেশসহ ১০৫টি দেশ।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ফাইজার জানিয়েছে, নিম্ন ও
নিম্ন-মধ্যম আয়ের পাশাপাশি সাব-সাহারান অঞ্চলের কিছু উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ এবং গত
পাঁচ বছরের মধ্যে নিম্ন-মধ্যম আয় থেকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে, এমন
মোট ৯৫টি দেশ তাদের তৈরি করোনার ওষুধ উৎপাদনের অনুমতি পাবে।
চুক্তি অনুসারে দরিদ্র দেশগুলোতে করোনার ওষুধ বিক্রি থেকে কোনো
অর্থ নেবে না ফাইজার। এমনকি চুক্তির আওতায় থাকা অন্য দেশগুলোতে ওষুধ বিক্রির
লভ্যাংশও ছেড়ে দিচ্ছে তারা।
ফাইজার-এমপিপির চুক্তি অনুসারে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে করোনার ওষুধ
উৎপাদনের অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে চলতি মাসের শুরুর
দিকে করোনা রোগীদের জন্য মুখে খাওয়া ওষুধে সাফল্য পাওয়ার কথা জানায় ফাইজার।
প্রাথমিক ট্রায়ালে তাদের ওষুধ ৮৯ শতাংশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি করেছে
মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি।
ট্রায়ালের ফলাফলে দেখা যায়,
কোভিড-১৯ সারাতে ফাইজারের
ওষুধ তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী মার্কের তৈরি মলনুপিরাভিরের চেয়েও বেশি কার্যকর।
মার্কের ওষুধটি করোনায় আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি বা রোগীদের মৃত্যুঝুঁকি
অর্ধেকে নামাতে সক্ষম। সেই তুলনায় ফাইজারের প্যাক্সলোভিডের কার্যকারিতা প্রায়
দ্বিগুণের কাছাকাছি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুসারে, চলতি বছরের শেষের
দিকে মার্কিন নীতিনির্ধারকদের অনুমোদন পেতে পারে ফাইজারের ওষুধটি। তারা আগামী ২৫
নভেম্বরের আগেই প্রাথমিক ট্রায়ালের ফলাফল মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ)
হাতে তুলে দেবে বলে জানিয়েছে।
শামীম/এম. জামান