• ঢাকা শুক্রবার
    ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১

জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকায় মেরুদণ্ডের প্রদাহ হতে পারে

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২১, ০৪:৫৪ পিএম

জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকায় মেরুদণ্ডের প্রদাহ হতে পারে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় টিকাতে বেশ সাফল্য পাওয়া গেছে। তবে এক ডোজের জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা নিলে ট্রান্সভার্স মিয়েলিটিস বা মেরুদণ্ডের প্রদাহ হতে পারে। টিকার বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে এটি হতে পারে বলে বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না, স্পুটনিক ৫, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, কোভিশিল্ডসহ অন্যান্য যেসব করোনা টিকা বাজারে পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো দুই ডোজের টিকা।

এসব টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় পেরোনোর পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হয়। কিন্তু জনসন অ্যান্ড জনসনের করোনা টিকা এক ডোজের। অর্থাৎ, এই টিকার প্রথম ডোজেই মানবদেহে কার্যকর করোনা প্রতিরোধী প্রোটিন গড়ে ওঠে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউরোপীয়ান মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ) বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ইতিপূর্বে অক্সফোর্ড-আস্ট্রাজেনেকা এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের সময় অর্থাৎ ট্রায়ালের মধ্যেই এ ধরনের গুরুতর স্নায়ুজনিত রোগের তথ্য জানানো হয়েছিল। কারণ এই দুটি প্রতিষ্ঠানই একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে টিকা প্রস্তুত করে থাকে।

করোনা প্রতিরোধী সবগুলো টিকার নিরাপত্তা-সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য প্রকাশের সময় ইএমএ জানায়, মডার্নার টিকা নেয়ার পর ক্যাপিলারি লিক সিন্ড্রোম (সিএলএস) নামে রক্ত-সংক্রান্ত একটি বিরল সমস্যার তথ্য তারা খতিয়ে দেখছেন।

সংস্থাটির দাবি, তারা এ ধরনের ছয়টি ঘটনার তথ্য পেয়েছেন এবং এর সবগুলোই পর্যালোচনা করেছেন। তবে টিকা নেয়ার সঙ্গে ক্যাপিলারি লিক সিন্ড্রোমের যোগসূত্র রয়েছে কি না তা এখনও পরিষ্কার নয়।

ক্যাপিলারি লিক সিন্ড্রোম হলে সাধারণত ক্ষুদ্র রক্তনালীর ছিদ্রপথ দিয়ে তরল জাতীয় পদার্থ বের হয়। ফলে সেখানে ফুলে যায় এবং রক্তচাপ কমিয়ে দেয়। অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা নিলে এ ধরনের কিছু হয় কি না সেই বিষয়টিও ইএমএ খতিয়ে দেখেছে।

ইউরোপীয়ান মেডিসিন এজেন্সি জানিয়েছে, অনুমোদন পাওয়া টিকাগুলো মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটারি সিন্ড্রোম (এমআইএস) সমস্যা তৈরি করে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমআইএস অত্যন্ত বিরল হলেও এটি বেশ মারাত্মক এবং এর কারণে হার্ট, কিডনি, ফুসফুস, মস্তিস্ক, চামড়া, চোখ এমনকি পেটে প্রদাহের মতো সমস্যা দেখা দেয়।

জনসন অ্যান্ড জনসন অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

 শামীম/এএমকে

আর্কাইভ