প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২১, ০৭:০৭ পিএম
জার্মানির রুশ দূতাবাসের সামনে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া দূতাবাসের কর্মকর্তা
একজন ‘আন্ডারকভার এজেন্ট’ বা গুপ্তচর ছিলেন বলে দাবি করেছে জার্মানির বৃহত্তম
সংবাদমাধ্যম ডের স্পিগেল। ১৭ দিন আগে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
গত ১৯ অক্টোবর জার্মানির রাজধানী বার্লিনে রুশ দূতাবাসের লাগোয়া সড়ক থেকে
উদ্ধার করা হয় ৩৫ বছর বয়স্ক ওই কূটনীতিকের মরদেহ। নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাত
দিয়ে ডের স্পিগেল সে সময় জানিয়েছিল- দূতাবাসের ওপরের তলা থেকে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি।
কূটনীতিকের দেহ উদ্ধারের পর তাকে দ্রুত হাসপাতালেও নিয়ে গিয়েছিলেন নিরাপত্তাকর্মীরা; কিন্তু কর্তব্যরত ডাক্তার জানান, হাসপাতালে আনার
অনেক আগেই মারা গিয়েছিলেন তিনি।
নিহত ওই কূটনীতিকের নাম প্রকাশ করেনি রুশ দূতাবাস। তার মৃতদেহের ময়নাতদন্তের
অনুমতিও দেয়নি। ফলে ওপর থেকে পড়ে যাওয়ার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে কিনা- সে
সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি ডের স্পিগেলসহ অন্য সংবাদমাধ্যমগুলো।
তাছাড়া, কীভাবে তিনি ওপর থেকে পড়ে গেলেন, সে সম্পর্কেও কোনো তথ্য নেই জার্মানির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে।
তবে রুশ বার্তাসংস্থা ইন্টারফ্যাক্সকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জার্মানির আইনশৃঙ্খলা
বাহিনী ও প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে বার্লিনের রুশ দূতাবাস। বিবৃতিতে
দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,
ওই কূটনীতিকের দেহ ফিরিয়ে
দিতে যাবতীয় দায়িত্ব ও আনুষ্ঠানিকতা জার্মানির প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা কমিটি পালন
করেছে।
পাশাপাশি, নিহত কূটনীতিকের নাম প্রকাশ না করলেও তিনি
দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব ছিলেন বলে জানিয়েছে রুশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স শনিবার (৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নিহত ওই কূটনীতিক রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের
(এফসিবি) একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ছিলেন।
তবে তিনি নিজেও ওই গোয়েন্দা সংস্থার গুপ্তচর হিসেবে কাজ করছিলেন কিনা-
বার্লিনের রুশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষের কাছে তা জানতে চেয়েছিল রয়টার্স।
কিন্তু রুশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
শামীম/ডাকুয়া