প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২১, ০৭:৩৪ পিএম
অবশেষে ভ্রমণপিপাসুদের অপেক্ষার অবসান হচ্ছে। খুলে দেওয়া হয়েছে থাইল্যান্ডের
দুয়ার। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে বন্ধ থাকার পর ৬০টির বেশি
দেশের টিকা গ্রহণকারী মানুষের জন্য ভ্রমণের দরজা খুলেছে থাইল্যান্ড। সারা বিশ্বের
বেশ কয়েক হাজার পর্যটক সোমবার (১ নভেম্বর) দেশটিতে প্রবেশ করেছে বলে ধারণা করা
হচ্ছিল।
ফলে রাজধানী ব্যাংককের বিমানবন্দরে বাড়ছে পর্যটকদের ভিড়৷ বিশেষ করে ইউরোপের
শীত এড়িয়ে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন দ্বীপের উষ্ণ প্রকৃতির বুকে সময় কাটাতে আগ্রহীদের
ভিড় চোখে পড়ার মতো৷
জানা গেছে, কম ঝুঁকিপূর্ণ ৬৩ দেশের টিকা নেওয়া নাগরিকদের
থাইল্যান্ডে হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না। এর মধ্য দিয়ে দেশটির পর্যটন খাতে
পুরনো চাঞ্চল্য ফিরে আসবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের ধারণা, বছরে প্রায় দেড় কোটির মতো পর্যটকের সমাগম ঘটতে পারে থাইল্যান্ডে। এতে তিন
হাজার কোটি ডলারের মতো রাজস্ব আসবে। তবে ‘কম ঝুঁকিপূর্ণ’ ৬৩ দেশের তালিকায় স্থান
করতে পারেনি বাংলাদেশ।
এ দিকে পররাষ্ট্র দফতর বলছে,
বাংলাদেশে করোনা
সংক্রমণের গতি কমেছে। রেকর্ড সংখ্যক টিকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু থাই সরকার কোনো
কিছুকেই আমলে নেয়নি। কর্মকর্তারা বলছেন, কূটনৈতিকভাবে
বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা চলছে। হয়তো আগামী মাসে এর ফল পাওয়া যাবে। অর্থাৎ বাংলাদেশি
নাগরিকদের থাইল্যান্ড ভ্রমণে কোয়ারেন্টিনের শর্ত শিথিল হবে।
থাই সরকার ‘কম ঝুঁকিপূর্ণ’ ৬৩ দেশের যে তালিকা করেছে সেখানে বাংলাদেশের নাম না
থাকলেও দক্ষিণ এশিয়ার ৪টি দেশ স্থান পেয়েছে। দেশগুলো হলো- ভুটান, ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা।
করোনাভাইরাস মহামারির জন্য থাইল্যান্ডে এখনও বেশ কিছু বিধিনিষেধ চলছে। সেখানে
দুই ডোজ টিকা পেয়েছে ৪২ শতাংশ মানুষ। এখনও প্রতিদিন ১০ হাজারের মতো রোগী শনাক্ত
হচ্ছে।
শামীম/এম. জামান