প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২১, ০৯:০৭ এএম
গ্রিসের এজিয়ান সাগরে চিওস
দ্বীপের কাছে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় সাত নারী
ও এক শিশুসহ ২২ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্টগার্ড। নৌকায় কোনো বাংলাদেশি ছিলেন
কি-না এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি তা।
ইনফো মাইগ্রেন্টস সূত্রে জানা
যায়, মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) তুরস্ক উপকূলের কাছে চিওস দ্বীপের কাছে ডুবে যায় নৌকাটি।
এ ঘটনায় তুরস্ককে দায়ী করেছে গ্রিস।
গ্রিসের অভিবাসনমন্ত্রী নোটিস
মিতারাসি এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ’এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। কিন্তু গ্রিক কোস্টগার্ডের
সকল প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তিন থেকে ১৪ বছর বয়সী চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ২২ জনকে জীবিত
উদ্ধার করে তাদের মূল ভূখণ্ডে পৌঁছাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ’মূল উৎস
থেকে অপরাধীচক্রের মাধ্যমে অভিবাসীদের শোষণরোধে তুর্কি কর্তৃপক্ষকে আরও বেশি পদক্ষেপ
নিতে হবে। এই সীমান্তে এ ধরনের পারাপার আর ঘটতে দেওয়া যাবে না।’
বার্তায় তিনি মানুষের জীবনকে
হুমকিতে ফেলা অসাধু পাচারকারীদেরও নিন্দা করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে
আসা ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, উদ্ধার অভিযানের সময় সমুদ্র বেশ রুক্ষ ছিল। এজিয়ান সাগরের
এই এলাকায় ন্যাটোর একটি জাহাজ, দুটি হেলিকপ্টার ও আরও কয়েকটি নৌযানের সহায়তায় এই উদ্ধার
অভিযান পরিচালনা করেছে গ্রিক কোস্টগার্ড।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা
ইউএনএইচসিআর জানায়, প্রতিবেশী তুরস্ক থেকে চলতি বছর আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষ এজিয়ান
সাগর পাড়ি দিয়েছে। ২০২০ সালে এই সংখ্যা ছিল প্রায় ১০ হাজার। গত বছর এজিয়ান সাগরে নৌকাডুবিতে
১০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটেছে বা নিখোঁজ হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
ইফাত