প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২১, ১২:১৭ এএম
করোনার টিকা দেওয়ায় ইতিহাস গড়ল ভারত। বৃস্পতিবার (২১ অক্টোবর) ১০০ কোটি
টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়েছে দেশটি। বুধবার পর্যন্ত দেশের ৯৯ কোটি ৭০ লাখ মানুষের টিকাকরণ হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালে টিকাকরণ ১০০ কোটি ছাড়িয়ে যায়।
দেশটির ৭৪ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্করা টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। ৩১ শতাংশ নাগরিক
করোনা টিকার দুটি ডোজই পেয়ে গিয়েছেন। এই সময়ে ভারতে আসা বিদেশিদের জন্য নতুন
করোনাবিধি কার্যকর করল দেশটি। ভারতে প্রবেশে আরটি-পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট
বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আগামী ২৫ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে
দেশের সব অঙ্গরাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে।
ভারতের প্রত্যেকটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্রিনিং করাতে হবে
যাত্রীদের। সেই স্ক্রিনিংয়ে কারও উপসর্গ ধরা পড়লে, তাকে এবং সরাসরি
সংস্পর্শে আসা সঙ্গীদের নিয়ম মেনেই আইসোলেশনে যেতে হবে। পাশাপাশি প্রত্যেকের
মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ থাকা বাধ্যতামূলক। এমনটাই নতুন সফর-বিধিতে উল্লেখ করেছে
ভারত। আকাশ, জল এবং সড়কপথে ভারতে প্রবেশে বিদেশী নাগরিকদের
এই নিয়ম মানতেই হবে। পাশাপাশি ভারতে প্রবেশের আগে প্রত্যেককে একটা স্বঘোষিত ফরম পূরণ করতে হবে। সেই ফরমে উল্লেখ থাকবে
স্বেচ্ছায় এবং বিধি মেনেই করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট-সহ দেশে প্রবেশ করতে চান
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। এই বিধিভঙ্গে ভারতীয় আইনে শাস্তি গ্রহণে প্রস্তুত থাকবেন
তিনি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বিশ্বজুড়ে
ভ্যাকসিনেশন কভারেজ বৃদ্ধি এবং মহামারীর পরিবর্তিত প্রকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে ভারতে
আন্তর্জাতিক আগমনের জন্য বিদ্যমান নির্দেশিকা পর্যালোচনা করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মতে, ভারত ১১টি দেশ যেমন- যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, নেপাল, বেলারুশ, লেবানন, আর্মেনিয়া, ইউক্রেন, বেলজিয়াম, হাঙ্গেরি এবং
সার্বিয়ার সঙ্গে ডব্লিউএইচও স্বীকৃত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
এই দেশগুলো থেকে আগত ভ্রমণকারীরা যারা সম্পূর্ণভাবে টিকার ডোজ নিয়েছেন তাদের
টিকাকরণ সম্পূর্ণ হওয়ার পর ১৫ দিন অতিবাহিত হয়েছে তারা বিমানবন্দর ছাড়ার অনুমতি
পাবেন সেই সঙ্গে ভারতের মাটিতে পা রাখার পর ১৪ দিন তাদের স্বপর্যবেক্ষণে থাকতে হবে
বলে নির্দেশনামায় জানিয়েছে ভারত সরকার।
যদি হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ভ্রমণকারীরা কোভিড-১৯ এর উপসর্গ বহন করেন তাহলে
তৎক্ষণাৎ তাদের নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রিপোর্ট করতে হবে। স্ক্রিনিংয়ের সময়
যেসব যাত্রীর দেহে উপসর্গ ধরা পড়বে তাদের অবিলম্বে বিচ্ছিন্ন করে স্বাস্থ্য
প্রোটোকল অনুযায়ী মেডিকেল ফ্যাসিলিটি প্রদান করা হবে। ভ্রমণের সময়, বিমানবন্দরে এবং ট্রানজিটের সময় ফ্লাইটগুলিতে সব রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা
সম্পর্কে ঘোষণা করা হবে।
শামীম/এম. জামান