প্রকাশিত: মে ১৭, ২০২১, ১০:৩১ পিএম
ঘূর্ণিঝড়
তাকতে আঘাত হেনেছে ভারতের
একাধিক রাজ্যে। ঝড়ের তাণ্ডবে কর্নাটক,
কেরালা ও গোয়ায় ১০
জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
১৮৫ কিলোমিটার বেগের ঝড়টি সবচেয়ে বেশি
আঘাত হেনেছ মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ে।
আবহাওয়া
দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে মুম্বাই শহরে। এ সময় বাতাসের
গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায়
১৮৫ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে মহারাষ্ট্রের রত্নাগিরির উপকূলবর্তী অঞ্চলের ৪০টি বাড়ির প্রবল
ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনটি বিদ্যালয় পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। পুনের নিকটবর্তী অঞ্চলের ৭০টি বাড়ির প্রভূত
ক্ষতি হয়েছে। মুম্বাই এয়ারপোর্ট বন্ধ রাখা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়
তাকতে আজ (১৭ মে)
রাতে গুজরাট উপকূলে আঘাত হানবে। এ
সময় ঝড়ের গতিবেগ প্রতি
ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার হতে
পারে। গুজরাটের নিম্ন উপকূল থেকে দেড় লাখ
মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বন্ধ
রাখা হয়েছে রেল যোগাযোগ।
মহারাষ্ট্র
সরকার আগে থেকেই ঘূর্ণিঝড়
মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। বোম্বে
মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন ‘ফিল্ড কোভিড সেন্টার’–এর করোনা রোগীদের
অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেছে। রাজ্যের তিনটি জেলার উপকূলবর্তী অঞ্চলের ৬ হাজার ৫০০
জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে।
মহারাষ্ট্রের
মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে জানিয়েছেন, হাসপাতালগুলোতে বিদ্যুৎসেবা যাতে ব্যাহত না
হয়, তার ব্যবস্থা নেয়া
হয়েছে। পর্যাপ্ত অক্সিজেন মজুদ রাখা হয়েছে।
যেসব জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের দাপট প্রবল হতে
পারে, সেসব জেলায় ১২
থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত
অক্সিজেনের ব্যাকআপ রাখা হয়েছে। তিনি
বলেন, রাজ্যে ওষুধের পর্যাপ্ত মজুদ রাখা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের
কারণে আজ সোমবার মুম্বাই,
থানে, পালঘর, রায়গড়, সিন্ধুদুর্গ জেলায় করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ রাখা হয়েছে।
আর তাঁবু খাটিয়ে যেসব স্থানে করোনা
রোগীদের চিকিৎসা চলছিল, তাদের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
উদ্ধার
কাজে সহায়তার জন্য ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
রাজনাথ সিং সেনা, নৌ
এবং বিমানবাহিনীকে বেসামরিক প্রশাসনের সাথে কাজ করতে
আদেশ দিয়েছেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৮০টি দল এবং ৯টি
ইঞ্জিনিয়ারিং টাস্কফোর্স গুজরাট উপকূলে মোতায়েন করা হয়েছে।
সাদাত/এম. জামান