
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২১, ০৭:০৭ পিএম
ইনজেকশনে ভীতদের জন্য সুখবর আনছে মার্কিন ওষুধ তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান মার্ক ও এর
অংশীদার প্রতিষ্ঠান রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিকস। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আগামী
ডিসেম্বরের মধ্যেই অ্যান্টিভাইরাল ক্যাপসুল মোলনুপিরাভির বাজারে আনতে পারে
সংস্থাটি। এখন তারা অপেক্ষা করছে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের
জন্য।
মহামারির এই সময়ে মোলনুপিরাভির ক্যাপসুলকে বলা হচ্ছে গেম চেঞ্জার। কারণ এরই
মধ্যে ট্রায়ালে দেখা গেছে, এই ক্যাপসুল করোনায় গুরুতর অসুস্থ হওয়া ও
মৃত্যুহার অন্তত ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনতে সক্ষম।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই কম আয়
বা দরিদ্র দেশগুলোকে মোলনুপিরাভির ক্যাপসুল দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিভিন্ন দেশের
স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও ওষুধটির অনুমোদন দেয়নি।
স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো বলছে, মহামারির এই কঠিন সময়ে টিকার অভাবে আফ্রিকার
জনসংখ্যার মাত্র ৫ শতাংশকে প্রথম ডোজের আওতায় আনা গেছে। অথচ উন্নত দেশগুলোতে ৭০
শতাংশের ওপরে মানুষ টিকা পেয়েছে। তাই নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে করোনা
চিকিৎসায় মোলনুপিরাভির ভালো কাজ করতে পারে। তবে এটাও ঠিক, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের
দেশগুলোতে প্রচুর পরিমাণ ওষুধ পৌঁছানোর জন্য এই ক্যাপসুল যথেষ্ট নয়।
রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিকসের সিইও ভেন্ডি হলম্যান বলেন, ‘আশা করছি আমাদের ওষুধটি মহামারি নিয়ন্ত্রণে গভীর প্রভাব ফেলতে পারবে। এ বছর
মার্ক এক কোটি ক্যাপসুল তৈরির পরিকল্পনা করেছে। আগামী বছর এর উৎপাদন বাড়ানো হবে।
কোভিডজনিত অসুস্থতায় এই ক্যাপসুল দিনে দুবার করে পাঁচ দিন সেবন করা যাবে।’
রয়টার্স বলছে, ইতোমধ্যেই এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্তত ৮টি দেশ মার্কের সঙ্গে ক্যাপসুলটি কেনার চুক্তি করে ফেলেছে বা কেনার আলোচনা করছে। কারণ এই ক্যাপসুল করোনার অতিসংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টসহ সব ধরনের ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেই লড়তে সক্ষম।
শামীম/ডাকুয়া