প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২১, ০২:১৫ পিএম
কাবুলের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ রেখেছে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স
বা পিআইএ। ৪০ মিনিটের এই বিমানযাত্রার জন্য টিকিটের মূল্য নেওয়া হচ্ছিল এক হাজার
৬০০ ডলার। কিন্তু তালেবান শাসনের আগে এই বিমানযাত্রার জন্য দিতে হতো মাত্র ১৫০
ডলার। তালেবান তাই নির্দেশ দিয়েছে পিআইএ ও আফগান বিমানসংস্থা ক্যাম এয়ারকে টিকিটের
দাম কমাতে হবে এবং আগে তারা যে দাম নিচ্ছিল, সেটাই নিতে হবে।
তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ইসলামাবাদ ও কাবুলের মধ্যে বিমানচলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পিআইএ।
তাদের অভিযোগ, তলেবানের অপেশাদার মনোভাবের জন্যই তাদের এই
সিদ্ধান্ত নিতে হলো। তবে তার সঙ্গে সুরক্ষা নিয়ে চিন্তার কথাও জানিয়েছে পিআইএ।
পিআইএর দেখাদেখি ক্যাম এয়ারও এক হাজার ডলার ভাড়া নিচ্ছিল। তাদেরও টিকিটের
দাম কমাতে বলা হয়েছে।
আগস্টের মাঝামাঝি থেকে ইসলামাবাদ-কাবুল বিমান আবার চালাতে শুরু করে পিআইএ।
কিন্তু তাদের বক্তব্য, এই রুট আর আদৌ আর্থিক দিক থেকে লাভজনক নয়। এখন
এনজিও-র সঙ্গে যুক্ত যাত্রীরা বিমানে চড়ে কাবুল যান বা সেখান থেকে আসেন। আর কিছু
আফগান মানবিক কারণে বিদেশে যেতে চান। তারা বিমানে চড়েন। তাছাড়া সাধারণ যাত্রী
পাওয়া যায় না।
পিআইএ জানিয়েছে, এই রুটে বিমান চালাতে গেলে চার লাখ ডলার বিমার
প্রিমিয়াম দিতে হচ্ছে। নিয়মিত গড়ে তিনশ যাত্রী বিমানে চড়লে তবেই বিমান চালানো
সম্ভব।
আফগনিস্তানের অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় এই সব যুক্তি শুনতে চায়নি। তারা
বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, পিআইএ ও ক্যাম এয়ারকে তালেবান শাসনের আগের
ভাড়াই নিতে হবে। যদি এই নির্দেশ অমান্য করা হয়, তাহলে এই রুট
বন্ধ করে দেয়া হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়।
বিদেশি বিমানসংস্থাগুলো এখনও কাবুল থেকে কোনো বিমান চালাচ্ছে না। তাই আফগানিস্তানের বাইরে যেতে হলে অন্যতম ভরসা ছিল পিআইএর বিমান। সম্প্রতি পাকিস্তানের সঙ্গে একটি সীমান্ত দিয়ে যাতায়াতও বন্ধ করে দিয়েছে তালেবান। কারণ, পাকিস্তানি রক্ষীরা আফগানদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছিল বলে অভিযোগ। এরপর বিমানে
যাত্রীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছিল।
পাকিস্তানের সঙ্গে তালেবানের সম্পর্ক খুবই ভালো। এতদিন পর্যন্ত পাকিস্তান
তালেবানদের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাদের সাহায্য করেছে। তবে তারা এখনও তালেবান
শাসনকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দেয়নি। তালেবান বারবার অনুরোধ করার পরেও নয়। এখন আবার
বিমান চলাচল নিয়ে নতুন করে বিরোধ সামনে এলো।
শামীম/ডাকুয়া