• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১

টিকা নেবেন না ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২১, ০১:২১ পিএম

টিকা নেবেন না ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো করোনাভাইরাস নিয়ে কম বিতর্ক তৈরি করেননি। করোনাভাইরাসের টিকা নেবেন না বলে এবার তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) রাতে দেশটির জোভেম প্যান রেডিওর সঙ্গে এক আলাপচারিতায় এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। এর আগে অবশ্য করোনার টিকা নেবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বলসোনারো। তবে এটাও জানিয়েছিলেন, ব্রাজিলের টিকা নেওয়া শেষ ব্যক্তিটি হবেন তিনি।

টিকা নিতে নারাজ বলসোনারো অবশ্য এর মধ্যেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, প্রথম দিকে করোনা মহামারিকে তেমন গুরুত্ব দেননি ডানপন্থী এ নেতা। এ ছাড়া করোনা ঠেকাতে বলসোনারো সরকারের পদক্ষেপগুলোও সমালোচনার মুখে পড়েছে।

জোভেম প্যান রেডিওকে বলসোনারো বলেন, ‘আমি টিকা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি নতুন গবেষণাগুলোর দিকে নজর রাখছি। এর মধ্যেই আমার শরীরে সর্বোচ্চ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। তাহলে কেন আমি টিকা নেব?’ বলসোনারো আরও বলেন, ‘আমার কাছে, স্বাধীনতা সব কিছুর আগে। কোনো নাগরিক যদি টিকা না নিতে চান, এটা তার অধিকার এবং এখানেই বিষয়টি শেষ করা উচিত।’

করোনা মহামারির শুরু থেকেই নানা মন্তব্য করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট। এক সময় দাবি করেছিলেন, ফাইজারের করোনার টিকা নিলে এর প্রতিক্রিয়ায় কুমিরে পরিণত হবে মানুষ। গত বছরের জুলাইয়ে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেও করেছেন নানা সমালোচনামূলক মন্তব্য। সে সময় বলেছিলেন, পরীক্ষা করে দেখা গেছে, করোনার সঙ্গে লড়াই করার জন্য তার শরীরে যথেষ্ট অ্যান্টিবডি রয়েছে। তাই তার টিকা নেওয়ার দরকার নেই।

ব্রাজিলের ‘হেলথ পাস’ ব্যবস্থারও বিরুদ্ধে গিয়েছেন বলসোনারো। দেশটিতে করোনার টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের এই পাস দেওয়া হয়। ব্রাজিলের বড় কয়েকটি শহরে জনসমাগম হয় এমন নির্দিষ্ট কিছু স্থানে প্রবেশ করতে হেলথ পাসের প্রয়োজন হয়।

এ দিকে করোনা মহামারিতে বড় ধাক্কা খেয়েছে ব্রাজিল। করোনা শনাক্তের পর থেকে দেশটিতে ভাইরাসটির সংক্রমণে ছয় লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় মৃত্যুর দিক দিয়ে সারা বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে সবার ওপরে। তারপরই ব্রাজিলের মানুষকে সবচেয়ে স্বজন হারানোর শোক বইতে হয়েছে। সব কিছুর মধ্যে ব্রাজিলের ২১ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার প্রায় ১০ কোটি মানুষ টিকার পূর্ণ ডোজ পেয়েছেন। আর কমপক্ষে একটি ডোজ পেয়েছেন ৫ কোটি মানুষ।

 

শামীম/এম. জামান

আর্কাইভ