প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২১, ০৭:০১ পিএম
ভবানীপুর উপ-নির্বাচনে রেকর্ড–ভাঙা ভোটে জিতে দুর্গাপূজার উদ্বোধন অনুষ্ঠান
শুরু করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনো পূজা কমিটির
অনুরোধ তিনি ফেরাননি। যেখান থেকে অনুরোধ পাচ্ছেন সেখানেই ছুটে যাচ্ছেন। দিন রাতে
ঝড়ের গতিতে পূজা উদ্বোধন করে চলেছেন তিনি। শনিবার (৯ অক্টোবর) ভবানীপুরে একটা
পল্লিতে গিয়ে আক্ষেপ করলেন। তিনি বললেন, ‘এতগুলো পূজা
উদ্বোধন করলাম কেউ এক কাপ চা দেয়নি। আজকে এরা আমায় এক কাপ চা দেবে বলেছে। আমি খুব
খুশি।’
মুখ্যমন্ত্রীর এই আক্ষেপে এখন অনেক পূজা কমিটিই হাত কামড়াচ্ছেন। কিন্তু এখন
অনেক দেরি হয়ে গেছে। যাকে জাতীয় স্তরের নেত্রী ভাবা হচ্ছে, বিজেপিবিরোধী মুখ হিসাবে দেখছেন ভারতবাসী, রোম থেকে বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে যাকে ডাকা
হচ্ছে তাকে এক কাপ চা দেওয়া হলো না! অবাক বাংলার মানুষজন। পূজা কমিটিগুলোর আচরণে অনেকেই
হতবাক!
শনিবার এক্সপ্রেস ট্রেনের গতিতে এক মণ্ডপ থেকে আর এক মণ্ডপে ছুটে বেরিয়েছেন
মমতা। সেখানে কিন্তু অনেক নেতা–মন্ত্রীর পূজাও ছিল।
ভবানীপুরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার গলা শুকিয়ে
গেছে। অন্তত ১০০টি প্যান্ডেল ঘোরা হয়ে গেল। কাল অনেকে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু একটা
জায়গায় খেয়েছিলাম। পরশু আমাকে কেউ দেয়নি। ওদেরও দোষ নেই। আমি সময় পাই না। আজকে
তোমরা চা দিয়েছ। এটা আমার নিজের পাড়া। নিজের পাড়ার মেয়ে হিসেবে চেয়ে খাচ্ছি।’
এখন প্রশ্ন উঠছে, নেতা–মন্ত্রীরা কেন এক
কাপ চা খেতে বললেন না? তারা তো জানেন নেত্রী চা
খেতে ভালোবাসেন। তাহলে এই অঘটন ঘটল কী করে? এখন অবশ্য
ত্রিধারা সম্মিলনী থেকে সুরুচি সংঘ সবাই ভাবছেন, এটা কি ভুল হয়ে
গেল! কিন্তু আর তো কিছু করার নেই। তেলেভাজাও খেতে ভালোবাসেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই
তিনি বললেন, ‘আপনাদের এখানে ভালো
তেলেভাজা পাওয়া যায়। রাস্তার ওই দোকানগুলোতে। কলেজ, স্কুলে যাওয়ার
সময় তেলেভাজা খেতে আসতাম।’
শামীম/ডাকুয়া