• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ১৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

‘শুভ প্রত্যেক বছর নিয়ম করে আমায় পাঞ্জাবি কিনে দেয়’

প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২১, ১১:০০ এএম

‘শুভ প্রত্যেক বছর নিয়ম করে আমায় পাঞ্জাবি কিনে দেয়’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

দেখতে দেখতে বছর ঘুরল। পূজাও এসে গেল। আগের বছর দুর্গাপূজার আগেই আমাদের জীবনে এলো ইউভান। আবার পূজা আসছে, এখন সে হাঁটতে পারে। সমুদ্র দেখলে ছোট্ট ছোট্ট পায়ে সে দিকে ছোটে।

সত্যিই সময়ের সঙ্গে কত কিছুই যে বদলে যায়! আমিও তো বদলেছি। এখন আমি আর শুধুই পরিচালক-প্রযোজক রাজ চক্রবর্তী নই। ব্যারাকপুরের বিধায়কও বটে। তাই এখন প্রত্যেক উৎসবেই সেখানে ছুটে যাই। ওই কেন্দ্রের মানুষও এখন আমার পরিবার। এ বার পূজাতেও বেশ কয়েক দিন সেখানে যাব। কিছু মণ্ডপ উদ্বোধন করব। ব্যারাকপুরবাসীর সঙ্গে সময়ও কাটাব কিছুটা।

করোনা অতিমারিকে সঙ্গী করে এ বার দ্বিতীয় পূজা। অনেকেই কাছের মানুষকে হারিয়েছেন। কেউ কেউ নিজেই এই অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করেছেন। এমন আবহে আমাদের সবারই মন ভার। তবুও উৎসবের চারটে দিন একটু অন্যভাবে কাটানোর চেষ্টা। মনে হয় যেন মা এলে রোগব্যাধি সবই দূর হয়ে যাবে। সেই বিশ্বাসে ভর করে মন খারাপের মাঝেও ছিমছাম আয়োজনে পূজা

পূজাতে আমি কোনো দিনই খুব একটা বেরোই না। এ বারও আমার বাড়িতেই থাকব। অষ্টমীর সকালে পরিবারের সঙ্গে অঞ্জলি। আর জমিয়ে খাওয়া-দাওয়া। শরীর-স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে সারা বছর অনেক কিছুই খেতে পারি না। তাই বলে পূজার সময় পেটপূজাতেও বিধিনিষেধ? তা হবে না। ওই কয়টা দিন কব্জি ডুবিয়ে খাওয়ার পালা। নবমীর দিন মাংস চাই-ই চাই। আর ঘুম ভাঙবে গরম গরম লুচি, ছোলার ডালের মিষ্টি গন্ধে। পাতে এসব খাবার না পড়লে পূজার আমেজটাই যে ঠিক আসে না!

পূজায় পেটপূজার পাশাপাশিই আসে কেনাকাটার প্রসঙ্গ। নিজের জন্য বিশেষ জামাকাপড় কিনি না। শুভ (শুভশ্রী) প্রত্যেক বছর নিয়ম করে আমায় পাঞ্জাবি কিনে দেয়। ও জানে আমি পাঞ্জাবি পরতে ভালোবাসি। শুভর দেওয়া পাঞ্জাবি পরে অষ্টমীতে অঞ্জলি দিই। আমি কিন্তু ওর থেকে দিব্যি পাঞ্জাবি চেয়ে ফেলি। কিন্তু ও আমার থেকে কিছুই নিতে চায় না। অগত্যা আমিই পছন্দ করে ওকে শাড়ি কিনে দিই। এখন লিখতে লিখতে মনে পড়ল! এ বছরের শাড়িটা এখনও কেনা হয়নি। এবার কিনে ফেলতে হবে! আমাদের ইউভানেরও ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটা জামা হয়েছে। দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভালোবেসে ওর জন্য জামা পাঠিয়েছেন।

পূজা আর আড্ডা বরাবরই সমার্থক। এমনিতে প্রতি বছর বন্ধুদের সঙ্গে ঘরোয়া আড্ডা দিই। জানি না, এ বছর সেসব কিছু হবে কি না। আসলে এই অতিমারির আবহে আলাদা করে আনন্দ করতে ইচ্ছে করছে না। মনটা ভারী হয়ে আছে। কিন্তু উৎসব তো নতুন আশা জাগায়। উন্মাদনা নিয়ে আসে। শহরে ইতোমধ্যে চার দিকে হোর্ডিং পড়ে গেছে। রাস্তায় বেরোলে মানুষের ভিড়। এই কয়েকটা দিন দুঃখ ভুলে মানুষ নতুন করে হাসতে শেখে। এটাই তো সবচেয়ে বড় পাওনা। আর কয়েকটা মাত্র দিন। মা আসছেন… যা জীর্ণ, যা দীর্ণ সব মুছে যাক। হাসি, আলোয় ভরে যাক জীবন।

 

শামীম/এম. জামান

আর্কাইভ