প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২১, ০২:২৭ পিএম
পশ্চিম তীরে মুসলিম বিশ্বের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে
ইহুদিরা প্রার্থনা করতে পারবে না। ইসরায়েলের একটি আদালত এ বিষয়ক নিষেধাজ্ঞা বহাল
রেখেছেন। এক প্রতিবেদনে আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে ইসরায়েলের এক নিম্ন আদালত জেরুজালেমের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসা মসজিদ
কমপ্লেক্সে ইহুদিদের প্রার্থনার অনুমতির পক্ষে রায় দিয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তে
ক্ষোভ প্রকাশ করে ফিলিস্তিনিরা। তাদের আশঙ্কা এর মাধ্যমে ইহুদিরা জোর করে পবিত্র
স্থানটির দখল নিয়ে নিতে পারে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়,
সমস্যার শুরু ইসরায়েলের
রাব্বি আরিয়েহ লিপ্পোর আল-আকসা প্রাঙ্গণে ঢুকে প্রার্থনা করার মধ্যদিয়ে। গত মাসে
তিনি ওই ঘটনা ঘটানোর পর ইহুদিদের প্রার্থনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে পুলিশ। বিষয়টি
শেষে আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
গত মঙ্গলবার আদালতের সেই রায়ে বলা হয়, আল-আকসা
কমপ্লেক্সে ইহুদি প্রার্থনাকারীরা যদি নীরব থেকে প্রার্থনা করে, তাহলে তা অপরাধ বলে বিবেচনা করা যাবে না। দীর্ঘদিন থেকেই এক চুক্তির অধীনে
মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা আল-আকসায় নামাজ পড়ে আর কাছের পশ্চিম দেওয়ালে ইহুদিরা প্রার্থনা
করে। ইসরায়েলি রাবি আরিয়েহ লিপ্পোর করা এক মামলার জেরে ইহুদি প্রার্থনাকারীদের
পক্ষে রায় দিয়েছে দেশটির আদালত। সেই রায়ের পর ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ
সংগঠনগুলো পবিত্র আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইহুদিদের প্রার্থনার অনুমতিকে মারাত্মক
অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনগুলো বলেছে, ইহুদিবাদী
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ ইসলামি পবিত্র স্থানগুলোর ওপর ভয়াবহ আগ্রাসনের শামিল।
ইহুদিবাদীরা আল-আকসা মসজিদকে মুসলিম ও ইহুদিদের মধ্যে ভাগাভাগি করার যে ষড়যন্ত্র
করেছে এই পদক্ষেপ তা বাস্তবায়নের প্রাথমিক উদ্যোগ বলে বিবৃতিতে মন্তব্য করা হয়েছে।
শামীম/ডাকুয়া