প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২১, ০৯:১১ এএম
জেরুজালেমের পবিত্র
আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইহুদিদের প্রার্থনায় নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছেন ইসরায়েলের
একটি আদালত। এর আগে গত মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) দেশটির নিম্ন আদালত এক আদেশে বলেছিলেন,
এই মসজিদ প্রাঙ্গণে ইহুদিরাও ‘শান্তিপূর্ণভাবে’
প্রার্থনা করতে পারবেন। এ রায়ে ফিলিস্তিন ভূখণ্ড ও মুসলিম বিশ্বে
ক্ষোভ সৃষ্টি করেছিল।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছিল, ইহুদিরা চাইলে নীরবে প্রার্থনা করতে পারবেন, এটি তাদের অপরাধ বলে গণ্য হবে না। দীর্ঘদিন ধরে চুক্তির অধীনে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা আল-আকসায় নামাজ পড়েন এবং পশ্চিম দেয়ালে প্রার্থনা করেন ইহুদিরা। ফিলিস্তিনিদের অভিযোগ, আল-আকসা দখলের জন্যই এ রায় দেওয়া হয়েছে।
মসজিদুল আকসা বা বায়তুল মুকাদ্দাস সারা বিশ্বের মুসলিমদের কাছে পবিত্রতম স্থান বলে বিবেচিত। আর ইহুদিদের কাছে এটি খ্যাত টেম্পল মাউন্ট নামে। তারাও এটিকে তাদের পবিত্র স্থান দাবি করে থাকে। দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে এই মসজিদের অবস্থান।
মঙ্গলবারের রায়ের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি পুলিশ আপিল করলে জেরুজালেমের জেলা আদালতের বিচারক আরিয়েহ রোমানফ স্থানীয় সময় শুক্রবার (৮ অক্টোবর) আল–আকসা কমপ্লেক্সে ইহুদিদের প্রার্থনায় নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন। তিনি বলেন, পুলিশ যা করেছে, তা যৌক্তিক। ইহুদিরা সেখানে ঘোরাফেরা করতে পারবেন, তবে প্রার্থনা বা ধর্মীয় নীতি পালন করতে পারবেন না।
ইসরায়েলের রাবি আরিয়েহ লিপ্পো নামে এক দখলদার আল-আকসা কমপ্লেক্সে প্রার্থনা করায় তার ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল সম্প্রতি। সেই নিষেধাজ্ঞার প্রত্যাহার চেয়ে আদালতে আবেদন করেন তিনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ইহুদিদের আল-আকসা কমপ্লেক্সে নীরবে প্রার্থনা করার অনুমতি দেয়।
ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ ইব্রাহিম স্তাইয়া ইসরায়েলের আদালতের পূর্বের সিদ্ধান্তের পর আল-আকসা মসজিদ কমপ্লেক্সের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পবিত্র আল-আকসা মসজিদে নতুন বাস্তবতা আরোপে ইসরায়েলি অপতৎপরতার আমরা বিরোধীতা করছি।
তেল আবিব ও আম্মানের ১৯৯৪ সালের শান্তি চুক্তির পর আল-আকসা মসজিদের তত্বাবধায়ক ছিল জর্ডান। ইসরায়েলের আদালতের ইহুদিদের প্রার্থনার অনুমতি দেওয়ার রায়ের পর বিশ্বজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আল-আকসা মসজিদের ইতিহাসগত ঐতিহ্য এবং আইনি মর্যাদার গুরুতর লঙ্ঘন বলে সমালোচনা করে আম্মানসহ বহু মুসলিম দেশ।
জেডআই/এএমকে