প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২১, ১২:৪৫ পিএম
চীনের বিমান তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে
চলেছে। এ নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র।
দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে এ
কথা বলেন। চীন টানা চার দিন তাইওয়ানের আকাশসীমায় রেকর্ডসংখ্যক যুদ্ধবিমান পাঠানোর
পর এ মন্তব্য করলেন যুক্তরষ্ট্রের নিরাপত্তা উপদেষ্টা।
তাইওয়ানের নিজস্ব সংবিধান,
সামরিক বাহিনী এবং
গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতা রয়েছে। অঞ্চলটি নিজেকে সার্বভৌম রাষ্ট্র বলে মনে
করে। অন্যদিকে চীন দাবি করে তাইওয়ান তাদের নিজস্ব ভূমি।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) ব্রাসেলসে সুলিভান বিবিসির কূটনৈতিক প্রতিবেদক জেমস
ল্যান্ডেলকে বলেন, যখন মৌলিকভাবে অস্থিতিশীল করার কোনো কার্যক্রম
দেখব, তখন গোপনে এবং প্রকাশ্যে এ বিষয়ে আমরা কথা বলব।
চীনের শীর্ষ কূটনীতিবিদ ইয়াং জিয়েছির সঙ্গে বৈঠকের একদিন পর সুলিভান এ কথা বলেন।
তাইওয়ানকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র সামরিক পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত কিনা জানতে চাইলে
সুলিভান বলেন, সেই দিনটি যেন কখনও না আসে আমরা সে বিষয়ে
পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। কমিউনিস্টরা চীনে ১৯৪৯ সালে ক্ষমতা দখল করার পর তাইওয়ান মূল
ভূখণ্ড থেকে আলাদা হয়ে যায়।
বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন, তাইওয়ান আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করতে
পারে বলে চীন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে।
এদিকে সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ফোনে কথা বলেছেন। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বাইডেন
বলেছিলেন, আমি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা সম্মত
হয়েছি, উভয় দেশই তাইওয়ান চুক্তি মেনে চলব।
শামীম/ডাকুয়া